মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) জানতে পেরেছে, ইরানের দু’টি পরিকাঠামো ইজরায়েলের পরবর্তী টার্গেট—ইরান মিলিটারি হেডকোয়ার্টার এবং নিউক্লিয়ার ফেসিলিটি সেন্টার। আর যদি সেই হামলার বিন্দুমাত্র সূত্রপাত হয়, জবাবে ইরান কিন্তু পরমাণু অস্ত্র পর্যন্ত প্রয়োগ করতে পারে! রিপোর্ট পেয়েই ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ফোন করেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। অনুরোধ করেন এখনই কঠোর সিদ্ধান্ত যেন না নেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘ইরানের পরমাণু কেন্দ্র টার্গেট করলে আমরা সমর্থন করব না।’ জি সেভেন গোষ্ঠীর রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তারপর ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন সকলে একে একে সংযত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন নেতানিয়াহুকে। ইরানের তেল ভাণ্ডারই ইজরায়েলের সম্ভাব্য টার্গেট কি না, তা নিয়ে এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় বাইডেনকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘এব্যাপারে ইজরায়েলকে পরামর্শ দিচ্ছি। তবে আজই এরকম কিছু হবে না।’
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অবশ্য বুধবারই বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘ইরান বিরাট ভুল করল। এই ভুলের খেসারত দিতে হবে।’ এরপরই বৃহস্পতিবার ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশন গার্ড কর্পসের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে পাল্টা হুঁশিয়ারি, ‘বিবি (নেতানিয়াহুর ডাক নাম) যেন প্যালেস্তাইন, লেবানন বা ইয়েমেনের সঙ্গে ইরানকে গুলিয়ে না ফেলেন। লেবাননে ঢুকতে গিয়ে গত ১২ ঘণ্টায় ৩৫ জন সেনার বলি দিয়েছে ইজরায়েল। এখন পালাচ্ছে। ইরানকে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা হলে, অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ কোন রূপে আসবে, সেটা কল্পনাও করতে পারছে না। তেল আভিভের তিনটি মিলিটারি বেস আমাদের টার্গেট হয়েই আছে।’ ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সুপ্রিম কাউন্সিলের সেক্রেটারি আলি আকবর আহমাদিয়া বলেছেন, ‘বি রেডি বিবি!’
এসবের মধ্যেই হঠাৎ লেবাননের বিধ্বস্ত অঞ্চলে নানাবিধ সহায়তা পাঠাতে শুরু করেছে রাশিয়া। বেইরুটে নেমেছে রুশ এয়ারফোর্সের ১০টি কার্গো বিমান। শুধুই মানবিক সহায়তা? নাকি নেপথ্যে কোনও গোপন প্লট? বিশ্বাস করতে পারছে না আমেরিকা। এমনিতেই ইউক্রেনে ব্যাকফুটে মার্কিন প্রশাসন। অস্ত্র সাহায্য করেও লাভ হয়নি। আদতে রাশিয়ার সামনে সার্বিক পরাজয়ের প্রায় সম্মুখীন ইউক্রেন। একের পর এক শহরের পতন হয়েছে। অতএব অ্যাডভান্টেজ পুতিন! এসব থেকে বহুদূরে ভারত পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র শঙ্কায়। তাই দুই পক্ষকেই আবেদন জানিয়েছে নয়াদিল্লি, এমন কিছু করবেন না যা পয়েন্ট অব নো রিটার্ন! অর্থাৎ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ!