মুম্বই: অভিনেতা সইফ আলি খানের অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি বিপন্মুক্ত। মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের আইসিইউ থেকে বের করে তাঁকে আনা হয়েছে বিশেষ কক্ষে। শুক্রবার চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়, অল্পের জন্য বড়সড় কোনও ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে সইফের শিরদাঁড়া। সংক্রমণ এড়ানোর জন্য হাসপাতালের ওই বিশেষ কক্ষে প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই অস্ত্রোপচার করে ছুরির ফলা বের করে আনা হয়েছে। শুক্রবার সেই ছুরির ছবি প্রকাশ্যে আসে। এদিন নিউরোসার্জেন ডাঃ নীতিন ডাঙ্গে বলেছেন, ‘ক্ষত এখনও পুরোপুরি নিরাময় হয়নি। তবে সইফ ভালো রয়েছেন। শুক্রবার হাঁটাচলাও করেছেন। কথা বলেছেন চিকিৎসকদের সঙ্গে।’ সইফের হাঁটাচলা দেখে এদিন তাঁকে ‘টাইগার’ বলে সম্বোধন করেছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের কথায়, ‘ঘটনার আকস্মিকতায় সইফ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে তাঁর হাঁটাচলা বাঘের মতোই।’ সবকিছু ঠিক থাকলে দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এই একই সুর শোনা গিয়েছে, অটোচালক ভজন সিং রানার কণ্ঠেও। তিনি জানিয়েছেন, রক্তাক্ত সইফ হেঁটেই চেপেছিলেন অটোতে। তাঁর সাদা কুর্তা রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। সইফ নাকি প্রশ্নও করেছিলেন, ‘কতক্ষণ সময় লাগবে।’ উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে অভিনেতাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন স্ত্রী করিনা কাপুর খান, মা শর্মিলা ঠাকুর।
সইফ কাণ্ডের পিছনে বড়সড় কোনও চক্র জড়িত থাকতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে পুনেতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যোগেশ কদম জানিয়েছেন, কোনও আন্ডারওয়ার্ল্ড গ্যাংয়ের যোগ নেই এই ঘটনার সঙ্গে। একজন ব্যক্তিই এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ‘সইফ আলাদা করে কোনও নিরাপত্তা চাননি। তিনি তা চাইলে, আমরা সবরকম চেষ্টা করব।’ এদিকে, অভিনেতা শাহিদ কাপুর শুক্রবার এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।