পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ‘ন্যাশনাল পলিসি ফর রেয়ার ডিজিসে’র বাজেট প্রস্তাব ছিল ৫০ কোটি টাকা। কিন্তু বাজেট অনুযায়ী আদতে বরাদ্দ হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। ২০২৪-১৫ সালের বাজেটে সেই বরাদ্দ আরও কমিয়ে হয় ২০ কোটি টাকা। অথচ দেশজুড়ে দিনদিন বিরল রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বিরল রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৭৯ জন। তাঁদের মধ্যে সরকারি সুবিধা পেয়েছে মাত্র ১ হাজার ১১৮ জন। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি মোদি সরকারের প্রবল সমালোচনা করে বিরল রোগের চিকিৎসায় অন্তত ৯৭৪ কোটি টাকার একটি জাতীয় তহবিল গড়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
বিরল রোগের চিকিৎসায় কেন্দ্রীয় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি প্রয়োজন বলে মনে করে নয়াদিল্লির এইমস। হাসপাতালের ডার্মাটোলজি বিভাগের প্রধান কৌশল ভার্মা এবং শিশু বিশেষজ্ঞ মধুলিকা কাবরা জানান, দেশে প্রতি হাজারে একজন বিরল রোগের শিকার। যার ৮০ শতাংশ জিনঘটিত। তবে এ ব্যাপারে কেন্দ্র কোনও সমীক্ষা করেনি। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, বিশ্বে প্রায় সাত হাজার রোগকে ‘বিরল’ তকমা দেওয়া হয়েছে। ভারতে সংখ্যাটা ৪৫০। অথচ কেন্দ্রীয় নীতিতে মাত্র ৬৩ রোগ বিরল তালিকাভুক্ত।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কয়েকটি বিরল রোগের চিকিৎসায় এখন বছরে রোগীর ওষুধ খরচ হয় আড়াই থেকে ১৬ কোটি টাকা। বিদেশ থেকে ওষুধ আমদানি করতে হয়। কিন্তু স্রেফ ওষুধ নয়। ডায়েট, সাপোর্টিং থেরাপিতেও প্রচুর খরচ। অথচ কেন্দ্রীয় প্রকল্প অনুযায়ী ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধা মেলে। তাই সরকারের বাজেট এবং তালিকা বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে এইমস। এর ফলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষক উপকৃত হবে বলে এইমসের অভিমত।