অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
সূত্রের খবর মন্ত্রীর দপ্তরে খবর যায়, বৈঠকে ‘তৈরি’ হয়ে এসেছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। আবাস যোজনা ইস্যুতে বাংলার বকেয়ার বিষয়ে যাবতীয় নথি হাতে মন্ত্রীকে কোণঠাসা করতে তৈরি কাকলিদেবী। মোদি সরকারের ‘মিথ্যাচারের মুখোশ খুলে দিতে’ কোমর বেঁধে তৈরি হয়ে বৈঠকে গিয়েছিলেন তিনি। কারণ, কেন্দ্রের তৈরি রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্পের বাড়ি তৈরিতে প্রায় ১০০ শতাংশই অনুমোদিত। সরকারি তথ্যে বলা হয়েছে, চাহিদা ছিল ৪৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪২৩টি বাড়ির। অনুমোদন হয়েছে ৪৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৩২টি। এর মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে ৩৪ লক্ষ ১৯ হাজার ৩৫ টি বাড়ি। গ্রামোন্নয়নে মন্ত্রকের নথিতে বলা হয়েছে, আবাস যোজনা-গ্রামীণে সম্পূর্ণ বাড়ি তৈরির জাতীয় গড় যেখানে ৭৩ শতাংশ, বাংলায় তা ৭৫ শতাংশ।
আর এখানেই প্রশ্ন তৃণমূলের। অভিযোগ, ২০২২ সাল থেকে আটকে রাখা হয়েছে অনুমোদন। ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েও তা আটকে দেওয়া হয়েছে। খরচের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার তার অংশ বাবদ ৮ হাজার ১০৪ কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র তার অংশ দিচ্ছে না। নানা অজুহাতে টালবাহানা করছে। কেন্দ্রের অভিযোগ, আবাস যোজনা-গ্রামীণ দুর্নীতি হয়েছে। যোগ্যরা বাড়ি পায়নি। তাই টাকা বন্ধ। প্রকল্পের অনুমোদন স্থগিত।
দুর্নীতি ‘ধরতে’ কেন্দ্রের ৭৬টি টিম পরিদর্শন করেছে। রাজ্যের কাছ থেকে ৪৪ টি অ্যাকশন টেকন রিপোর্টও নিয়েছে। এরপরেও কেন বঞ্চনা? প্রশ্ন তৃণমূলের। এবং কেনই বা সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, ১০০ শতাংশ অনুমোদন? এ ব্যাপারে কাকলিদেবীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংসদীয় কমিটির বৈঠক গোপন বিষয়। এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলা যায় না। তবে বৈঠক বাতিল হয়েছে, এটি সত্য। আমি আবাস যোজনা নিয়ে বঞ্চনার প্রতিবাদ করতে তৈরি।’