মুম্বই ও নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটে ধরাশায়ী হয়েছে বিরোধী মহা বিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ)। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কি জোট সমীকরণে নয়া বদলের ইঙ্গিত মিলছে? জোড়া সাক্ষাৎ-পর্ব ঘিরে মারাঠি রাজনীতিতে জোর জল্পনা। বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এনসিপি (এসপি) প্রধান শারদ পাওয়ার। সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এই সাক্ষাৎ হয়। শারদের সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম মহারাষ্ট্রের দুই কৃষক। তাঁদের খেতের বেদানা উপহার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। একদিন আগেই আবার নাগপুরের বিধান ভবন চত্বরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিধানসভার স্পিকার রাহুল নারওয়েকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব থ্যাকারে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উদ্ধবের বিধায়ক পুত্র আদিত্য থাকারেও। তিনি বলেন, শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। রাজ্যের মানুষের স্বার্থে একযোগে কাজ করাই পরিণত রাজনৈতিক বোধ। যদিও খোঁচা দিতে ছাড়েননি উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা নেতা একনাথ সিন্ধে। সপুত্র উদ্ধবের প্রতি তাঁর ঠেস, ‘পরিবর্তনকে স্বাগত জানাই।’ এদিন সিন্ধে বলেন, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর যাঁরা চাঁদে পৌঁছে গিয়ে বলছিলেন, বিধানসভা নির্বাচনের পর ক্ষমতায় ফিরলে আমাদের জেলে ভরবেন, তাঁদের এখন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে হচ্ছে।
এই জোড়া সাক্ষাৎ-পর্ব ঘিরে জল্পনার মধ্যেই অবশ্য আম্বেদকর প্রসঙ্গে সংসদে অমিত শাহের মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন উদ্ধব থ্যাকারে। এদিন তিনি বলেন, বাবাসাহেব আম্বেদকরকে নিয়ে শাহ যে মন্তব্য করেছেন, বাস্তবে তা বিজেপির ঔদ্ধত্যেরই প্রকাশ। অমিত শাহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
প্রতিবাদে এদিন বিরোধী এমভিএ শিবির বিধান পরিষদ থেকে ওয়াক আউটও করে।