অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
বুধবার কলকাতায় উপস্থিত ছিলেন নাসার কিংবদন্তি জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরির সিনিয়র সায়েন্টিস্ট গৌতম চট্টোপাধ্যায়। এই ল্যাব থেকেই প্রথম মহাকাশযাত্রার সূচনা করেছিল আমেরিকা। গৌতমবাবু জানান, বেনু নামের একটি গ্রহাণুর মাটি ঠান্ডা পানীয়ের ক্যানের আকারে একটি পাত্রে ভরে পৃথিবীতে এনেছে নাসা। ১২০ গ্রামের ওই নমুনা খুবই সন্তর্পণে পরীক্ষা করা হচ্ছে। পৃথিবীর বাইরে থেকে আনা কোনও কিছুর নমুনা বিশেষ সুরক্ষা নিয়ে গবেষণা করতে হয়। না-হলে পৃথিবীর ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ওই নমুনা পৃথিবীতে গতবছর এসে পৌঁছলেও তার বিশ্লেষণে দেরি হচ্ছে। তবে, ইতিমধ্যেই সেই নমুনায় প্রচুর জল মিলেছে! গৌতমবাবু নাসার হয়ে ‘হোয়াটসআপ’ নামে একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন। জুতোর বাক্সের মতো ওই স্যাটেলাইট বিভিন্ন ধূমকেতুতে গিয়ে পরীক্ষা চালাবে। পৃথিবীর বাইরে থেকেই জল এসেছিল কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর আরও নিশ্চিতভাবে দেওয়া সম্ভব হবে।
নভেম্বরেই মেজর আর্মস্ট্রং মেডেল পেয়েছেন গৌতমবাবু। নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী রবার্ট উড্রো উইলসন নিউইয়র্কে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন। জলের রহস্য সন্ধানের পাশাপাশি তিনি বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের জন্মবৃত্তান্ত, ব্ল্যাক হোল নিয়েও নাসার হয়ে গবেষণা করছেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন বায়ুদূষক কীভাবে একস্থান থেকে অন্যস্থানে ভেসে যায়, তা নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন তিনি। হুগলি জেলার নবগ্রাম বিদ্যাপীঠের এই ছাত্র রীতিমতো দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। এতই অর্থকষ্ট ছিল যে আইআইটিতে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারেননি। বাড়ির কাছে হওয়ায় শিবপুর বিই কলেজে ভর্তি হন তিনি। টিনের এক কামরার বাড়ি থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে পিএইচডি, তা চলতে চলতেই নাসা থেকে ডাক কোনও কল্পকাহিনিকেও হার মানাবে। জেআইএস ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের উদ্যোগে আয়োজিত মেটেরিয়ালস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিতে তিনি এসেছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ বক্তা হিসেবে ছিলেন আইআইএসসি বেঙ্গালুরুর অধ্যাপক ভাটনাগর পুরস্কার জয়ী দীপঙ্কর দাস শর্মাও।