মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আচমকা আমেথির ভবানীভবনে সুনীল কুমার নামের ওই শিক্ষকের বাড়িতে ঢুকে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। ঘরের মধ্যে ঢুকে গুলি করে খুন করা হয় শিক্ষক, তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যা দৃষ্টি ও সুনিকে। ওই শিক্ষকের স্ত্রী পুনম সদ্য পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, চন্দন ভার্মা নামের এক ব্যক্তি তাঁকে হয়রান করছে। এমনকী, তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের কোনও ক্ষতির দায় চন্দনকেই নিতে হবে বলে অভিযোগপত্রে লিখেছিলেন পুনম। অভিযোগ করা ও খুনের ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে চন্দনের খোঁজ চলছে।
ফের দলিত হত্যার ঘটনায় যোগী সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাই লিখেছেন, ‘যোগী সরকারের বেহাল আইনশৃঙ্খলার প্রমাণ মিলল। বাড়ির ভিতরেও কেউ সুরক্ষিত নন।’ সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব লিখেছেন, ‘কেউ আছেন? কোথায় আছেন?’ বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর বক্তব্য, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। সরকারের উচিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। পাশাপাশি পুলিসকর্মীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।’
মর্মান্তিক এই ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন সুনীলের বাবা। কান্নাভেজা গলায় তিনি বলেছেন, ‘আমার ছেলেকে যে এমনভাবে খুন করল, তারও একই পরিণতি হবে।’ শুক্রবার সকালে দেহগুলিকে রায়বেরিলিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সুনীলের বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শোকপ্রকাশ করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর বক্তব্য, অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।