শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
জানা যায়, যে তিনটি বিদেশি সংস্থার অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে সেই সংস্থাগুলির কাছে মিলিতভাবে শুধুমাত্র আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার রয়েছে ৪৩ হাজার কোটি টাকার। এই তিন সংস্থার কাছে ভারতের শেয়ারবাজারে মোট যে শেয়ার রয়েছে তার ৯৬ শতাংশই আদানি গোষ্ঠীর। প্রশ্ন উঠেছে, কারা মরিশাসের পোর্ট লুই দ্বীপের এই তিন সংস্থার মালিক, যারা শুধু বেছে বেছে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারই কিনেছে? যদিও আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছে, গোটা প্রচারটাই অসত্য। তবে দ্রুত ঘটনাপরম্পরা এমন গড়ায় যে, দিনভর আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার শুধুই বিক্রি হতে থাকে। এক সময় দেখা যায়, আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার কিনছে না কেউ। মুহূর্তের মধ্যে প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়ে যায়। এই অবস্থায় শেয়ার বাজার যখন কম্পমান, তখন চমকপ্রদভাবে লক্ষ্য করা যায়, মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স গোষ্ঠীর প্রতিটি সংস্থার শেয়ারের দাম ঊর্ধমুখী। এই পরিস্থিতিতে দিনভর আম্বানি গোষ্ঠী লাভবান হয় সবথেকে বেশি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে দুপুরেই আদানি গোষ্ঠী বিবৃতি দিয়ে জানায়, তারা খোঁজ নিয়ে দেখেছে, ওই তিন বিদেশি সংস্থার এফপিআই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে যাওয়ার সংবাদটি সঠিক নয়। ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বিশেষ স্বার্থে। এই বিবৃতির পর শেয়ার বাজারে কিছুটা স্থিতাবস্থা এলেও অস্থিরতা রয়েই যায়। কারণ, ততক্ষণে জল্পনা ছড়ায় এবার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া আদানি গোষ্ঠীর কোম্পানিগুলি নিয়ে তদন্ত করবে। তাদের তদন্তের প্রধান অভিমুখ হবে, আদানিদের শেয়ারের দাম বিগত এক বছরে এভাবে বেড়ে যাওয়ার পিছনে কারণ কী? যদিও এই জল্পনা নিয়ে সরাসরি সেবি কোনও মন্তব্য করেনি।
তবে আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছে, সমস্ত প্রচারটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। হয়তো বিশেষ কাউকে সুবিধা করে দেওয়া জন্যই এই অপপ্রচার। আদানি গোষ্ঠীর নিশানা কি আম্বানি গোষ্ঠী? এই প্রশ্ন উঠছে। চর্চা শুরু হয়েছে ভারতে কি আবার টানটান কর্পোরেট যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল? অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে যাওয়ার অর্থ হল, ওই অ্যাকাউন্টের গ্রাহক কোনও শেয়ার ক্রয়বিক্রয় করতে পারবে না। যার বিরূপ প্রভাব পড়বে শেয়ারবাজারে। এতে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ওই শেয়ার যে কোম্পানির সেই সংস্থা। অর্থাৎ বিগত পাঁচ বছরে সাফল্যের চূড়ায় ওঠা সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজেস।