মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
এই প্রথম তরাই-ডুয়ার্সে নেতাজি জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান উদ্যাপন করা হল নবান্নের তরফে। উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। শঙ্খ বাজিয়ে এবং নেতাজির ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর মমতা বলেন, ‘আমাদের দুঃখ হয়, কারণ আজও আমরা দেশবরেণ্য এই নেতার মৃত্যুর দিনটি জানি না। উনি চক্রান্তের শিকার। নেতাজির মৃত্যুর আসল কারণটাও জানি না। উনি কত লড়াই করেছেন দেশের জন্য। অথচ সেই মানুষটা কোথায় হারিয়ে গেলেন, সেটা আমরা আর খুঁজে বের করতে পারলাম না।’
রাজ্যের কাছে থাকা নেতাজি সম্পর্কিত ৬৪টি ফাইল ইতিমধ্যে জনসমক্ষে নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এদিন কালচিনির সভা থেকে তিনি একথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, এবার কেন্দ্রের কাছে যে সমস্ত ফাইল আছে সেগুলিও প্রকাশ্যে আনা দরকার। একই সঙ্গে নেতাজির স্মৃতি বিজরিত উত্তরবঙ্গের বক্সা ফোর্ট খুলে দেওয়া, সুভাষচন্দ্রের লেখা ‘তরুণের স্বপ্ন’ বইয়ের অনুকরণে পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার প্রকল্পের নাম রাখার কথা উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। কিন্তু কেন্দ্র মুখে বড় বড় কথা বলা ছাড়া আর কী করেছে? সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কারণ, মোদি সরকার এখনও এই দিনটিকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেনি। এই দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে একাধিকবার চিঠিও লিখেছেন মমতা।
শুধু নেতাজি ইস্যু নয়, রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়েও এদিন সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজ, আবাস প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না দিল্লি। রাজ্যের কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। চালু করেছেন কর্মশ্রী, বাংলার বাড়ি প্রকল্প। বাংলাকে হাজার বঞ্চনা করেও যে ভাতে মারা যাবে না, সেকথাও ফের একবার করে বুঝিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, ‘মনে রাখবেন আমি ভিক্ষা চাই না। আমরা অধিকারের জন্যে লড়াই করি। বাংলা সম্মানের জন্য লড়াই করে।’
চা বাগান খোলার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও পালনে ব্যর্থ মোদি সরকার। এবিষয়েও কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছেন মমতা। বলেছেন, রাজ্য সরকার দায়িত্ব নিয়ে ৫৯টি বাগান খুলিয়েছে। চা বাগান ঘেরা এই সভাস্থলে মানুষের উপস্থিতি দেখে আপ্লুত ছিলেন তিনি।