মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
২০২১-এর বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের ৫৪টি আসনের মধ্যে ২৭টিতে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। পরবর্তীকালে আলিপুরদুয়ারের সুমন কাঞ্জিলাল সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। মালদহের বাসিন্দা অনিমেষ দত্ত বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভোট হলে উত্তরবঙ্গেও বিজেপি গোহারা হারবে। ১৫টি আসন জুটবে কি না, যথেষ্ট সংশয় আছে। এর একমাত্র কারণ রাজ্যের প্রতি বিজেপি সরকারের বঞ্চনা।’ একই কথা বলছেন আলিপুরদুয়ার জেলার ছোট শালকুমারের বাসিন্দা শান্তি ওঁরাও। তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে আবাসের টাকার জন্য অপেক্ষা করেছি। মোদিতো মিটিং করে চলে গেলেন। কিছুই দিলেন না। দিদি আমাদের বাড়ি তৈরির টাকা দিয়েছেন।’ বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের ফলাফল কেমন হতে পারে? শান্তির দাবি, তিনি রাজনীতি বোঝেন না। কিন্তু একমাত্র ‘দিদি’ ই তাঁর মতো গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ওই এলাকারই বাসিন্দা দীপালি বিশ্বাস, প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডলদেরও একই মত। ফলাফল কেমন হবে, তার একটা আঁচ গত লোকসভা এবং উপ নির্বাচনগুলিতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেও মনে করছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘আমরা তো অনেকদিন ধরেই বলে আসছি, বিজেপি যে তাদের বোকা বানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের মানুষ তা বুঝে গিয়েছে। এখন মানুষ সেই কথা মুখ ফুটে বলছেনও। এর প্রতিফলন অবশ্যই পাওয়া যাবে ২০২৬-এর ভোটে।’ তবে উত্তরবঙ্গের বিজেপির নেতাদের অবশ্য দাবি, রাজ্যের গাফিলতির কারণেই কেন্দ্র আবাস, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। মানুষ এটা বোঝে। তাই সমর্থন পাবেন তাঁরাই।