মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, আমি যতটুকু জানতে পেরেছি কোনও মদ্যপ যুবক বাড়িতে ঢুকে একটি কাচ ভেঙেছে। আমি মনে করি না এর পিছনে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে।
এদিন বিকেলে পৌঁনে ৫টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। মন্ত্রীর বাড়ির গ্রাউন্ডফ্লোরে এই অফিস রয়েছে। সেখানেই মন্ত্রী থাকলে কর্মীরা দেখা করার জন্য অপেক্ষা করেন। এহেন হাইপ্রোফাইল জোনেই ঢুকে পড়ে ভিকি। মন্ত্রীর টেবিলের কাচ ভেঙে দেয়। যদিও পুলিস যখন তাকে আটক করে গাড়িতে তোলে তখন অসংলগ্ন কথা বলতে থাকে। কখনও ‘সার্টিফিকেট’, ‘সার্টিফিকেট’ বলে চিৎকার করে। কখনও আবার ‘জয় শ্রীরাম র্যালি আসবে’ বলে জানাতে থাকে। মদ্যপ যুবককে কোনওরকমে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায় পুলিস। মন্ত্রীর স্ত্রী সুদেষ্ণা ঘটক বলেন, দোতলা থেকেই নীচের তলায় ভাঙচুরের আওয়াজ পেয়েছি। একেবারে অনভিপ্রেত ঘটনা।
মন্ত্রী না থাকলেও মন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তার জন্য পাঁচজন পুলিস কর্মী থাকে। পুলিস কর্মীদের ঘেরাটোপ এগিয়ে বাড়ির ভিতরে থাকা অফিস পর্যন্ত কীভাবে গেল মদ্যপ যুবক। মন্ত্রীর বাড়িতে দীর্ঘদিন কাজ করা সুবোধ মণ্ডল বলেন, ঘটনার সময়ে দুই পুলিস কর্মী চা খেতে গিয়েছিল। সেই ফাঁকেই কোনওভাবে সে ঢুকে যায়। ঘটনা জানাজানি হলেই পুরো এলাকায় পুলিসে ছয়লাপ হয়ে যায়। ডিসি, এসিপি পদমর্যাদার অফিসাররা ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। ডিসি ধ্রুব দাস বলেন, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড পাওয়া যায়নি। আমরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে মদ্যপ অবস্থায় কোনওভাবে ঢুকে পড়ে। তবু মন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তার বিষয়টি ফের রিভিউ করা হবে। যা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তাই আইনমন্ত্রীর বাড়িতেও হামলা হচ্ছে। আসানসোলের মলয়বাবুর বাড়ি সুরক্ষিত না থাকলে কার বাড়ি সুরক্ষিত?