মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
নোয়াপাড়া থানার ইতিহাস ঘেঁটে জানা গিয়েছে, ১৯৩১ সালের ১১ অক্টোবর ভাটপাড়ার গোলঘরে জুট মিল শ্রমিকদের সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। শ্যামনগরের চৌরঙ্গী কালীবাড়ির সামনে তাঁর পথ আটকে দাঁড়ান নোয়াপাড়া থানার তৎকালীন ওসি ম্যাকেনজি। নেতাজিকে আর গোলঘরের ওই সম্মেলনে যেতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে নিয়ে আসা হয় নোয়াপাড়া থানার লক আপে। সেখানেই কয়েক ঘণ্টা কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। তবে সম্মেলনে যেতে না দিলেও ভদ্রতা দেখিয়ে ব্রিটিশ পুলিস তাঁকে চা দিয়েছিল। যদিও নেতাজি পুলিসের দেওয়া সেই চা খাননি। তখন আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারাই চা করে দিলে তিনি তা খান। সেই কাপ-প্লেট আজও সংরক্ষিত রয়েছে। সেদিন থানার বাইরে বহু মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন। পরে তাঁর দাদা শরৎচন্দ্র বসু ব্যক্তিগত জামিনে ছাড়িয়ে নিয়ে যান নেতাজিকে। শর্ত ছিল, আগামী দু’মাস তিনি নোয়াপাড়া, ভাটপাড়া এলাকায় আসতে পারবেন না।
এই ঐতিহাসিক ঘটনার জন্যই নোয়াপাড়া থানাকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। থানার নতুন ভবন তৈরি হলেও নেতাজির স্মৃতি জড়িত ওই লক আপ প্রায় একই রকম রয়ে গিয়েছে। এটি নেতাজি স্মৃতি কক্ষ নামে পরিচিত। বুধবার দেখা গেল, ওই ঘরের ভিতরে রয়েছে ফুল দিয়ে সাজানো নেতাজির ছবি। সেখানে রোজ মালা দেওয়া হয় ও প্রদীপ জ্বালানো হয় নোয়াপাড়া থানার পুলিসকর্মীদের উদ্যোগে। স্বাধীনতার পর বহু বছর নোয়াপাড়া থানার নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত সেই ঘরটি ভগ্নদশায় পড়েছিল। ২০১১ সালে ঘরটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বেহাল ঘরটি এখন সাদা টাইলস ও রঙে মুড়ে ফেলা হয়েছে। প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি এই ঘরটিতে সুভাষচন্দ্রের ছবিতে ফুল-মালা দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয়। থানা প্রাঙ্গণে বসেছে নেতাজির পূর্ণাবয়ব মূর্তি। জন্মদিনে সেখানেও শ্রদ্ধা জানান সকলে।