পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
গত বুধবার বিকেলে পুলিসকে গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার পর সাজ্জাকের খোঁজ চলছিল। তার সন্ধান পেতে রীতিমতো চিরুনি তল্লাশি চলে শুরু করে পুলিস। আজ, শনিবার পুলিসের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, গোয়ালপোখরের কিচকতলা এলাকায় সে রয়েছে। এরপরই সেখানে অভিযান চালায় পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, সাজ্জাককে ধরতে গেলে সে ফের পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিসের পাল্টা ছোড়া গুলিতে সে গুরুতর জখম হয়। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সাজ্জাকের শরীরে ক্ষত অনেকটাই বেশি ছিল। তাছাড়া রক্তক্ষরণও হয়েছিল তার।
সাজ্জাক বিচারাধীন বন্দি ছিল। তার বাড়ি করণদিঘি থানার ছোট শাহারে। ২০১৯ সালে করণদিঘির পোলট্রি কারবারি সুবেশ দাস নামে এক ব্যক্তিকে খুন ও কয়েক লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্যাংস্টার সাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। বুধবার মামলার শুনানি শেষে প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে সাজ্জাক সহ মোট তিনজনকে রায়গঞ্জ সেন্ট্রাল জেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পাঞ্জিপাড়ায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে একরচালা কালী মন্দিরের কাছে এসে শৌচাগারে যাওয়ার জন্য পুলিসকর্মীদের জানায় সাজ্জাক। শৌচকার্য সেরে ফিরে আসা মাত্রই সে গায়ে জড়ানো কম্বল সরিয়ে পিস্তল বের করে পুলিসকর্মীদের লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায়। ঘটনায় আহত হন দুই পুলিসকর্মী। এরপরই সেখান থেকে সে চম্পট দেয়। এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। সেখানে রাজীব বলেন, “দুষ্কৃতীরা পুলিসকে লক্ষ্য করে দুটো গুলি চালালে, পাল্টা চারটে গুলি ছোড়া হবে। পুলিস সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যস্ত থাকে। তাই পুলিসের উপর হামলা হলে আমরা তার জবাব দিতে তৈরি।”
সাজ্জাকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এল কোথা থেকে? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে তদন্তকারীদের একটি বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। আবাল ওরফে আব্দুল হোসেন নামে সাজ্জাকের এক সহযোগী তাকে পালাতে সাহায্য করেছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসেক অনুমান, আব্দুলই আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিল সাজ্জাককে। যদিও এখনও পর্যন্ত আব্দুলের কোনও হদিশ মেলেনি। তার খোঁজেও চলছে তল্লাশি।