নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নাম নথিভুক্তকরণ চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু ইতিমধ্যে রবি মরশুমের জন্য বাংলা শস্যবিমায় নাম নথিভুক্ত করেছেন ২১ লক্ষ কৃষক। এই বিমার সম্পূর্ণ প্রিমিয়ামই কৃষকদের হয়ে বহন করে রাজ্য সরকার। ২০২৪ সালের বাজেটে আলুর ক্ষেত্রেও এই প্রিমিয়াম রাজ্যই বহন করবে বলেও ঘোষণা হয়। ফলে এবারই প্রথম রবি মরশুমে আলু চাষের জন্য এই সুবিধা পেতে চলেছেন কৃষকরা। অন্যান্য বছরে যত জন আলুচাষি নাম নথিভুক্ত করান, সেই সংখ্যা এ বছর ইতিমধ্যে পার করে গিয়েছে বলেই সূত্রের খবর। ফলে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। ৮ জানুয়ারি খরিফ মরশুমের ফসলের ক্ষয়ক্ষতির জন্য শস্যবিমার ৩৫০ কোটি টাকা ৯ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। চাষিরা প্রত্যেক বছর এই ক্ষতিপূরণ পান জানুয়ারি মাসের শেষে বা ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায়। ফলে এবার রেকর্ড সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন রাজ্যের কৃষকরা।
শুক্রবার নবান্নে প্রত্যেক জেলার কৃষি ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন দপ্তরের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ওঙ্কার সিং মিনাও। এই বৈঠকেই কৃষক স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর নেওয়া প্রকল্পের সুবিধা একেবারে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। কৃষিক্ষেত্রের প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে এদিন পর্যালোচনাও করেন দপ্তরের মন্ত্রী ও পদস্থ কর্তারা।