পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িতে থাকা ছ’জনই চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত। কয়েক দিন আগে কলকাতার বড়বাজারের কাছে এক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ছিনতাই করে। সেখান থেকে তারা গাড়ি নিয়ে রওনা দেয় ঝাড়খণ্ডে। সেখানে পরপর কয়েকটি ‘অপারেশন’ চালিয়ে পুরুলিয়ায় আশ্রয় নেয়। সেখানেও বেশ কয়েকটি চুরি এবং ছিনতাইয়ের পর তারা বর্ধমান হয়ে ব্যান্ডেলে ফিরছিল। সেখানেই তাদের বাড়ি। তারা বর্ধমানের রাস্তা হয়ে ফিরছে সে খবর লালবাজারের গোয়েন্দাদের কাছে আগে থেকেই ছিল। সেই মতো ঘোড়দৌড়চটির কাছে তারা অপেক্ষা করতে থাকে। বর্ধমান থানার পুলিসকেও বিষয়টি আগেই তারা জানিয়ে রেখেছিল। সেই মতো বর্ধমান থানার পুলিসও কিছুটা দূরে অপেক্ষা করছিল। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার সায়ক দাস বলেন, ধৃতরা বর্ধমান জেলায় কোনও অপরাধ করেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃতরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চুরি এবং ছিনতাই করেছে। তারা ভিনরাজ্যেও অপরাধ করেছে। এই গ্যাংয়ের সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত রয়েছে। তাদের খোঁজেও তদন্তকারীরা তল্লাশি শুরু করেছেন। ধৃতরা কোথাও অপরাধ করার আগে সেখানে বেশ কিছুদিন থাকত। রেকি করার পর অপারেশন চালাত। ধৃতদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ রয়েছে। দুষ্কৃতীরা একাধিক দলে ভাগ হয়ে অপারেশন চালাত। কয়েক দিন আগে কলকাতার বড়বাজারের কাছে এক ব্যবসায়ী ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক লক্ষ টাকা তুলে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় তারা ওই ব্যবসায়ীর কাছে থেকে টাকা ছিনতাই করে চম্পট দেয়। পুলিস টেকনোলজি ব্যবহার করে গ্যাংটির সন্ধান পায়। তারপর থেকেই তাদের উপর নজরদারি চলতে থাকে। ঝাড়খণ্ড থেকে বাড়ি ফেরার অপেক্ষা গোয়েন্দারা করতে থাকে। অন্য রাজ্যে তাদের পাকড়াও করতে গেলে নানা ঝক্কির মধ্যে পড়তে হতো। সেই কারণে তারা বর্ধমানে এসে দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করেছে। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, ধৃতরা কোথায় কোথায় অপরাধ করেছে তা জেরা করে জানা হবে। চুরি যাওয়া টাকা এবং অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধারেও জোর দেওয়া হবে।