পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
বর্তমানে জমি-বাড়ির রেজিস্ট্রেশন করাতে গেলে প্রথমে wb.registration.gov.in সাইটে যেতে হয়। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির ‘মার্কেট ভ্যালু জেনারেশন’ হয়। এরপর প্রেজেন্টেশন কাউন্টারে দলিল জমা দিলে একটি ‘সিরিয়াল নম্বর’ পাওয়া যায়। তখন যেতে হয় ফি রিসিভিং কাউন্টারে। সেখানে টাকা জমা করার পর ফটো ফিঙ্গাররপ্রিন্ট কাউন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিক সহ অন্যান্য কাজ সারতে হয়। এরপর ‘আইজিআর রিসিপ্ট’ নিয়ে ডেলিভারি কাউন্টারে গেলে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়। গোটা পর্বটি সময়সাপেক্ষ। তার মধ্যে যদি রেজিস্ট্রেশন অফিসে ভিড়ভাট্টা লেগে থাকে, তাতে আরও সমস্যা বাড়ে। নয়া ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে এই সমস্যা আর থাকবে না।
নবান্ন সূত্রে খবর, বাংলায় মোট ২৬০টি রেজিস্ট্রি অফিস আছে। বছরে ২২ লক্ষের বেশি সম্পত্তি নথিভুক্ত হয়। নতুন অর্থবর্ষ অর্থাৎ আগামী এপ্রিল থেকে গোটা রাজ্যে এই ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার আগে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি অফিসে এটি চালু করা যায় কি না, ভেবে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইনে আবেদন এখনও করা যায়। কিন্তু কোভিডের সময় অনলাইনে কিছু মানুষ আবেদন করলেও এখন কেউ তা করে না বললে চলে। নতুন নিয়মে অনলাইনে আবেদনই একমাত্র উপায় বলে বিবেচিত হবে। নবান্ন সূত্রে আরও খবর, চলতি অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই খাতে আদায় হয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবর্ষে এই সময়কালের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। গত অথবর্ষের পুরো সময়কালে যেখানে ৬ হাজার ১৫০ কোটি টাকা রেজিস্ট্রেশন বাবদ এসেছিল, সেখানে এখনই ৬ হাজার কোটি এসে গিয়েছে। কোভিডের সময় স্ট্যাম্প ডিউটিতে যে ছাড় দিয়েছিল, গত জুলাইয়ে রাজ্য তা তুলে নেয়। তখন অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এর ফলে আদায় কমে যাবে। কিন্তু এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, ছাড় তুলে দেওয়ার পরেও রাজ্যে জমি-বাড়ি কেনাবেচা এবং রেজিস্ট্রেশনে ভাটা পড়েনি, বরং তা আরও বেড়েছে।