পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
ব্যক্তিগত উদ্যোগে কেনা বিমাকে সমীক্ষার আতশকাচের তলায় রাখতেই প্রকাশ্যে এসেছে এই গুরুতর পরিসংখ্যান। বিশ্বের গড় হিসেব অনুযায়ী কিন্তু প্রতি হাজারে ৭০ জন বিমা কিনে থাকেন। সেই নিরিখে ভারতের গড় প্রায় অর্ধেক। এর কারণ বেশ কিছু। প্রথমত, কম খরচে ইনস্যুরেন্স করানোর সুবিধা এদেশে নেই। অনলাইনে বিমা কেনা বা পলিসির শর্ত লাঘবের মতো কিছু পদক্ষেপ কেন্দ্র করেছে ঠিকই, কিন্তু তা সব স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছোয়নি। উপরন্তু ১৮ শতাংশ জিএসটির বোঝা। বিমা সংস্থাগুলিও এ ব্যাপারে বারবার অনুরোধ করছে। তারপরও টালবাহানা জারি রেখেছে মোদি সরকার। গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠছে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি। মানুষের হাতে সংসার চালানোর মতো টাকা থাকছে না। তার উপর চড়া প্রিমিয়াম। বিমার পথ থেকে সরে আসা ছাড়া গতি থাকছে না মানুষের। মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ব্যাঙ্কিং ও ফিনান্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্মরজিৎ মিত্র বলেন, ‘জীবন বিমাকে এখনও বেশিরভাগ মানুষ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে দেখেন। তাঁদের একটা বড় অংশ, বিশেষত নয়া প্রজন্ম বিকল্প লগ্নিতে আরও বেশি রিটার্ন পাওয়ায় জীবন বিমা কিনতে চাইছেন না। মৃত্যুর পর কত টাকা মিলবে, তা নিয়ে ভাবতে তাঁরা আগ্রহী নন। সরকারের উচিত বিমা পলিসিকে আকর্ষণীয় করা।’
একটি বেসরকারি বিমা সংস্থার সমীক্ষা বলছে, দেশে চিকিৎসা খরচ বছরে ১৪ শতাংশ হারে বাড়ছে। প্রতি ১০০ জনে ২৩ জন সেই খরচ জোটাতে বাজার থেকে ধার করছেন। ৬২ জন তা দিচ্ছেন নিজের জমানো টাকা থেকে। এই পরিস্থিতিতে নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যবিমা চালু করার উদ্যোগ কেন সরকার নেবে না, সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠছে।