পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
মোদি জমানার শুরু থেকে কেন্দ্রে মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন নীতিন গাদকারি এবং রাজনাথ সিং। দু’জনেই সঙ্ঘের প্রিয়পাত্র। কিন্তু একক গরিষ্ঠতায় বলীয়ান নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় তাঁদের তেমন কোনও প্রভাব ছিল না। ২০২৪ সালে সেই তালিকায় জুড়েছেন মধ্যপ্রদেশের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ। সেরাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করলেও তাঁকে গদিতে ফেরানো হয়নি। ধরেই নেওয়া হচ্ছিল গুরুত্ব হারাচ্ছেন তিনি। কিন্তু গত লোকসভা ভোটে ২৪০ আসনে আটকে যাওয়ায় শেষপর্যন্ত সঙ্ঘের চাপে সেই শিবরাজকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিতে বাধ্য হয়েছেন গরিষ্ঠতাহীন মোদি। সরকারের অন্যতম প্রধান দুই মন্ত্রক গ্রামোন্নয়ন এবং কৃষি তাঁর হাতে। আরএসএসের নীতি ও আদর্শই হল স্বদেশি ও গ্রামবিকাশ। মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়া যেহেতু ‘ফ্লপ’, তাই এবার বাজেটে গ্রামীণ বিকাশের উপর বেশি করে জোর দিতে চাইছে তারা। শিবরাজ নিজেই এদিন বলেছেন, ‘১০০ দিনের কাজে জোর দেওয়ার কথা বলেছি অর্থমন্ত্রীকে। আশা করা যায় কৃষিমুখী হবে বাজেট।’
চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ হয়েছিল ৮৬ হাজার কোটি টাকা। আগের আর্থিক বছরে তা ছিল ৬০ হাজার কোটি। যদিও বছরের শেষে তা পৌঁছে যায় ৯৮ হাজার কোটি টাকায়। তা সত্ত্বেও চলতি বছরে বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে দেয় মোদি সরকার। অথচ গত ডিসেম্বরেও দেখা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজের চাহিদা প্রবল। কারণ, শহরে কাজ নেই। ইতিমধ্যেই ৮২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই আসন্ন বাজেটে বেশি বরাদ্দের দাবি জানিয়ে এলেন শিবরাজ। বোঝাই যাচ্ছে, সঙ্ঘ চাইছে গ্রামমুখী বাজেট!