পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
ভোরে ১ নং রাস্তার সামনে পুণ্যস্নান করছিলেন পাটনার সন্তোষ সিং। ভিড় এড়ানোর জন্য একটু আগেভাগেই সপরিবারে চলে এসেছেন তাঁরা সাগরসঙ্গমে। মুড়িগঙ্গার ওপারে লট নং ৮-এ দেখা গেল, সার দিয়ে রয়েছে ভিন রাজ্যের তীর্থযাত্রীদের বহু বাস। সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা সেখানেই সেরে নিয়েছেন রান্না-খাওয়া। মেলাপ্রাঙ্গণে তীর্থযাত্রীদের থাকার জন্য বড় শেড ও হোগলাপাতার ছাউনি করা হয়েছে। কিছু অর্ধসমাপ্ত শেডেও পুণ্যার্থীরা থাকতে শুরু করেছেন।
মেলা চত্বরে প্রশাসন ব্যস্ত ফাইনাল টাচ দেওয়ার জন্য। আরও স্টল এবং ছাউনি তৈরি হচ্ছে। স্টলে বিক্রিবাটা চলছে জোরকদমে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে রাস্তা মেরামতির কাজ। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কপিল মুনির আশ্রমের আলোকসজ্জার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। আলোকমালায় সেজে উঠেছে পুরো প্রাঙ্গণ। লেজার আলোকরশ্মিও ফেলা হচ্ছে সেখানে। আলো লাগানো হয়েছে ৮ নং লট এবং কচুবেড়িয়াতেও। মুড়িগঙ্গায় বিদ্যুতের হাইটেনশন টাওয়ারে আলো লাগানোর কাজ চলেছে বুধবার দুপুরেও। সকাল থেকে তীর্থযাত্রীদের ভিড়ে সরগরম ছিল সমুদ্র সৈকত। সেখানে পুজোপাঠ ও পুণ্যস্নান করছেন তাঁরা। ‘বৈতরণী’ পার করানোর জন্য গোরু নিয়ে সৈকতে ঘোরাফেরা করছেন কিছু পুরোহিত। কাদার মধ্যে জলে নামতেও পরোয়া নেই পুণ্যার্থীদের। ভাঙনের জন্য সমুদ্র সৈকতের কিছু স্থানে স্নানে নামা ‘বিপজ্জনক’ বলে বলে হোর্ডিং ঝুলিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করেই ভাঙন আটকানোর জন্য লাগানো শালবল্লার সামনে দাঁড়িয়েই চলছে তাঁদের পুণ্যলাভার্থ স্নান।