পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
কৌশিক সেনগুপ্ত নামে এক নিত্যযাত্রী এমন সমস্যার কথা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রেলমন্ত্রী, পূর্ব রেল এবং শিয়ালদহ ডিভিশনকে ট্যাগ করেছেন। তাতে তিনি বলেছেন, ‘কুম্ভমেলার জন্য মেমু কোচগুলিকে তুলে নেওয়ায় যাত্রীরা চরম সমস্যায় পড়ছেন। যথাস্থানে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা মেলেনি।’
দিলীপকুমার বিশ্বাস নামে সত্তরোর্ধ্ব এক রেলযাত্রী বলেন, সকাল ৯টা ১০ মিনিটে মুর্শিদাবাদ থেকে লালগোলা-শিয়ালদহ ট্রেন ধরেছিলাম। দুপুর ১টা ২০ মিনিট নাগাদ কল্যাণী পৌঁছই। শৌচালয় না-থাকায় আমি অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হয়েছিলাম। এই ব্যাপারে রেলের মানবিক হওয়া উচিত। বুধবার সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে শিয়ালদহ থেকে ছেড়েছিল লালগোলা মেমু। ওই ট্রেনে গিয়ে দেখা গেল, সাধারণ লোকাল গাড়ির কামরা। বর্ষীয়ান পঙ্কজ দাস ট্রেনে ওঠার আগে কামরায় শৌচালয় রয়েছে কি না ট্রেন চালকের কাছে তা জানতে চান। চালক জানান, এটি ইএমইউ কোচ, কোনও শৌচালয় নেই। শৌচকর্ম করেই এই ট্রেনে উঠতে হবে। তখন একরাশ বিরক্তি নিয়েই ওই ট্রেনে ওঠেন তিনি। বৃদ্ধ বলেন, ‘পলাশী যাব। ট্রেনে শৌচালয় নেই। যেখানে কষ্ট তীব্র হবে, সেখানেই নেমে যাওয়া ছাড়া উপায় কী? কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কথা আর ভাবে না। বয়স্কদের জন্য ভাড়ায় ছাড় তো কবেই তুলে দিয়েছে রেলমন্ত্রক। মনে হয় ওরা চাইছে, বয়স্করা আর ট্রেনে চড়বেন না!’
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘ইএমইউ ট্রেনের গতি বেশি। আরও দ্রুত গতির আধুনিক রেল পরিষেবা দেওয়ার জন্যই ইএমইউ ট্রেন চালানো হচ্ছে।’ কুম্ভমেলার জন্য মেমু কোচ তুলে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘লালগোলাগামী ট্রেন কৃষ্ণনগরে দাঁড়ায়। প্রয়োজনে যাত্রীরা সেখানেই শৌচকর্ম সেরে নিতে পারেন। মেমু কোচের দাবি নতুন করে উঠলে তখন তা পুনর্বিবেচনার বিষয়টি মাথায় রাখা হবে।’