পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে তারিকুল জানিয়েছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সে প্রথমে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ছিল। ওই জেলেই থাকত জেএমবির তৎকালীন মাথা সাজিদ ওরফে বুরহান শেখ, লাল মহম্মদ, নাজিবুল্লা হাক্কানি সহ অন্য জঙ্গিরা। তাদের সেলে রাখা হয়নি। আলাদাভাবে ছাড়া ছিল। প্রতিদিন রাতে নাজিবুল্লার নেতৃত্বে গোল টেবিল বৈঠক বসত সংশোধনাগারে। সেখানে বারবার উঠে আসে জেএমবির ভাবধারা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন কোনও ভাবধারার প্রচার করতে হবে। সেখান থেকেই তারা ঠিক করে এবিটিতে যোগ দেওয়ার। এরপর হাক্কানি জেল থেকেই ফোনে এবিটির চিফ জসিমউদ্দিন রহমানির সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তারিকুল, লাল মহম্মদকে সরিয়ে দেওয়া হয় বহরমপুর জেলে। যদিও তাদের সঙ্গে সাজিদ ও নাজিবুল্লার যোগাযোগ ছিল মেসেজে।
তারিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, আলোচনায় ঠিক হয়, সংগঠনে শুধু শ্রমিক বা রাজমিস্ত্রি পর্যায়ের লোকজনকে নিয়োগ করলেই হবে না। একাধিক স্লিপার সেল তৈরির জন্য তাদের গুরুত্ব আছে। মূল সমস্যা হল, সংগঠনে কোনও রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ নেই। যারা রয়েছে তারা সবাই হাতুড়ে। সেই কারণে নাজিবুল্লা সহ সকলে মিলে ঠিক করে এবার কেমিক্যাল নিয়ে পড়াশুনো করা শিক্ষিত যুবককে দলে টানতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের যুবকদের খুঁজে বের করে টার্গেট করা হয়। এই সমস্ত যুবকদের দিয়ে গবেষণাগারে নতুন বিস্ফোরক তৈরি করতে চাইছিল এবিটি। তারজন্য মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি জায়গা বাছা হয়েছিল বলে খবর।
তারিকুল্লা গোয়েন্দাদের জানিয়েছে, আলোচনায় বলা হয় খালি বোমা বিস্ফোরণ নয়, সেই সঙ্গে সাইবার অ্যাটাকের পথে যেতে হবে। যা বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী করছে। যাতে দেশের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ জানানো যায়া। প্রতিরক্ষা বা দেশের নিরাপত্তার কাজের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলিকে বেছেছিল এবিটি। সেখান সাইবার অ্যাটাক করে প্রযুক্তি সিস্টেমকে বিগড়ে দেওয়া ছিল এই জঙ্গিগোষ্ঠীর লক্ষ্য। একইসঙ্গে সেখান থেকে নথি হাতানোও তাদের উদ্দেশ্য ছিল। এরজন্য বাংলাদেশের দুই হ্যাকার সংগঠনের সাহায্য নিয়ে সফ্টওয়্যার বিশেষজ্ঞ নিয়োগের জন্য তোড়জোড় চলছিল বলে খবর। ধৃতদের জেরা করে বিশদে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।