অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
অসমে অনেকদিন ধরে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। পার্বত্য অসমে তারা ঘাঁটি গেড়ে সংগঠন বিস্তারের কাজ করছে বলে অনেকদিন ধরেই খবর পান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তার ভিত্তিতে সেনা ও অসম রাইফেলসের অফিসারদের কাছে তথ্য আসে চারজন কোকরাঝোড় এলাকায় এবং একজন ধুবড়িতে রয়েছে। সেখানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছে তারা। তাদের সঙ্গে দেখা করতে বিভিন্ন অপরিচিত যুবক এখানে আসছে। তার ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে কোকরাঝোড় থেকে চারজন এবং ধুবড়ি থেকে একজনকে ধরা হয়। ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, তারা বছরখানেক আগে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে অসমে অনুপ্রবেশ করে। এরপর কোকরাঝোড় ও ধুবড়িতে আশ্রয় নেয় তারা। জেএমবির প্রতি সহানুভূতিশীল এক ব্যক্তি সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। অসম পুলিস সূত্রের খবর, সেখানে তারা স্লিপার সেল খুলে বসে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তরুণদের মগজ ধোলাইয়ের পর তারা ‘দাওয়াত’ দিচ্ছিল এখানে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে ঝিমিয়ে পড়া জেএমবি সংগঠনকে চাঙ্গা করার কাজও শুরু করেছিল এই দুর্বৃত্তরা। এজন্য এখানকার পুরনো সদস্যদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে সাজা খেটে বেরনো জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে তাদের কথাবার্তার প্রমাণ মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গ ও অসম মিলিয়ে সংগঠনের বিস্তার ছিল তাদের টার্গেট। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর এই পাঁচ জঙ্গি পুরোদমে কাজ শুরু করেছিল। এমনকী সীমান্তের ওপার থেকেই তাদের কাছে অর্থ এসেছে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, তারা পশ্চিমবঙ্গ এসে কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে দেখাও করে গিয়েছিল। পাঁচ জঙ্গি কোন কোন রাজ্যে তাদের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে, সেই বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছে অসম এসটিএফ।