অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
ওই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে শহর এলাকায় বাড়ির সংখ্যা ৬৪ লক্ষ ৫১ হাজার। তার মধ্যে ৪৭ লক্ষ ৪১ হাজার বাড়িতে জল পৌঁছে গিয়েছে। এখন বাকি ১৬ লক্ষ বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়াই প্রধান লক্ষ্য পুরদপ্তরের। দশ হাজার আট কোটি টাকা খরচ করে ১৬ লক্ষ বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। সেই কাজ দ্রুত গতিতে শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পুর দপ্তরের সচিব গোলাম আনসারি এবং আম্রুত প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে কোন কোন পুরসভা ভাল কাজ করতে পারছে না, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ঠিক হয়, যে সব পুরসভায় এখনও টাকা পড়ে আছে, তা ফিরিয়ে নেওয়া হবে এবং সেই টাকা কলকাতা পুরসভাকে দিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে অম্রুত-১ প্রকল্পের যে ৫০ কোটি রয়ে গিয়েছিল, তা ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভাকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।। এবারও সেরকমই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমরা চাই দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ হোক। শহরাঞ্চলে প্রত্যেকের বাড়িতে জল পৌঁছে যাক। যদি কোথাও ত্রুটি থাকে, দ্রুততার সঙ্গে তা ঠিক হোক। কোনও পুরসভায় যদি টাকা পড়ে থাকে, তা ফিরিয়ে নিয়ে এসে কলকাতার উন্নয়নে লাগানো হবে। টাকা যাতে চলে না যায়, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য কোন পুরসভায় কাজের অগ্রগতি কেমন, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এই প্রকল্পে মাত্র ৪০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেয়, ৫৫ শতাংশ রাজ্য সরকারের ভাগ আর বাকি পাঁচ শতাংশ টাকা সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে দিতে হয়। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।