মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
কর্মবিরতি যে প্রত্যাহার হচ্ছে, সেই ইঙ্গিত অবশ্য মিলেছিল বৃহস্পতিবার দুপুরেই। আন্দোলনের ভরকেন্দ্র আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা কার্যত এক সুরে আন্দোলনকারীদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, মানুষের কথা ভেবে তাঁদের উচিত অবিলম্বে সমস্ত পরিষেবা চালু করা। আন্দোলন চলুক, কিন্তু পরিষেবা বন্ধ রেখে নয়। আন্দোলনকারীদের ‘শুভাকাঙ্খী’ বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন ও ‘বিশেষ বন্ধুরা’ও বুঝিয়ে দেন, কর্মবিরতি আর নয়। আন্দোলনের গতিপথ পরিবর্তন করা উচিত। শুরুতে নাগরিক সমাজের সমর্থন থাকলেও পুজোর মাসে কর্মবিরতি, মিছিল, ভোগান্তি মোটেই ভালো চোখে দেখছে না মানুষ। ক্রমেই জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে এই আন্দোলন। সেই কারণেই এদিন কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়ররা।
যদিও আন্দোলনে ‘ভেসে’ থাকতে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিল ওয়াই চ্যানেলে পৌঁছনোর পর অভিযোগ ওঠে, এক জুনিয়র চিকিৎসককে নিগ্রহ করেছে পুলিস। তা নিয়ে সন্ধ্যায় দু’তরফের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওয়াই চ্যানেলে অবস্থানে বসে পড়েন কয়েকশো জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের তরফে ডাঃ অনিকেত মাহাত বলেন, ‘পুলিস একজন জুনিয়র ডাক্তারকে যাচ্ছেতাইভাবে নিগ্রহ করেছে। মানুষের কথা ভেবে আমরা ইনডোর, আউটডোর, ইমার্জেন্সি—সর্বত্র কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছি। এখন থেকে অবস্থান চলবে ধর্মতলায়। রাজ্যকে অনুরোধ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের ১০ দাবি পূরণ করুন। না হলে আমরা আমরণ অনশন শুরু করব।’
কর্মবিরতির জন্য এদিনও পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। আর জি কর হাসপাতালে প্রি ও প্যারা ক্লিনিক্যাল বিভাগের ৩২ জন চিকিৎসককে ইমার্জেন্সি ডিউটি দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা চলে আসেন অতিরিক্ত সুপার ও অধ্যক্ষ অফিসে। ক্ষোভের সুরে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা ইমার্জেন্সি ডিউটি করতে ভরসা পাচ্ছেন না।
এই অবস্থার মধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন এদিন খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে শুনানি সম্ভব নয়। বরং পূজাবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদন জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ডাক্তারি পড়ুয়াদের উত্তরপত্রের পুনর্মূল্যায়ন সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন উত্তরবঙ্গ ও রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদিন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়।