মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট—সর্বত্রই শুক্রবার ছিল কেনাকাটার ঢল। হাতে আর সময় কোথায়? আজ আর কাল। পুজোর মুখে শেষ উইকএন্ড! নতুন আনকোরা পোশাক, রেস্তরাঁয় খাওয়া-দাওয়া সেরে ঠাকুর দেখার জনস্রোত তো আজ থেকেই। এবার অবশ্য ডিজিটাল সুবিধাও আছে। কীভাবে? ধরুন শ্রীভূমি যাবেন। যাওয়ার আগে বাড়িতে বসেই দেখে নিতে পারবেন, সেখানে ভিড় কেমন। পুজো দেখতে কত সময় লাগবে, সেটাও পাওয়া যাবে এক ক্লিকে। এই অভিনব উদ্যোগ অবশ্য বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটের। পোশাকি নাম ‘পুজো ড্যাশবোর্ড’। শ্রীভূমি সহ বিধাননগরের বহু বিগ বাজেটের পুজোয় লক্ষ লক্ষ মানুষের জনস্রোত নামে। কমিশনারেটের ওয়েবসাইটে গেলেই মুশকিল আসান। মিলবে পুজো গাইডম্যাপও। কোথায় পার্কিং এলাকা রয়েছে, অনলাইনেই দেখা যাবে সেটাও। ঠাকুর দেখতে গিয়ে শিশু নিখোঁজ? মোবাইল হারিয়েছে? সাইবার ক্রাইমের শিকার? তারও অভিযোগ জানানো যাবে অনলাইনে। তাই এই সমস্ত উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দুর্গাপুজো সুরক্ষা’।
কাউন্টডাউন ছুটছে। পুজোর বাজার নিয়ে ব্যবসায়ী মহলের দোলাচলও এখন কেটে যাওয়ার মুখে। গত কয়েকদিনে হাতিবাগান, নিউমার্কেট, গড়িয়াহাট সহ সর্বত্র পুজো মার্কেটিংয়ের সেই চেনা ভিড়। নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী শচীন সিং বলছিলেন, ‘বাজার এখন পুরনো আমেজেই দৌড়চ্ছে’। গড়িয়াহাটের ব্যবসায়ী অমরেশ দাঁ’ও বললেন, ‘প্রথম দিকে বেচাকেনা জমেনি। তবে, গত দু’সপ্তাহ ধরে হাল ফিরেছে’। উদ্বোধন হলেও শহরের সব মণ্ডপে এখনও দর্শনার্থীদের প্রবেশ নেই। তাতে কি উৎসবপ্রিয় বাঙালিকে আটকে রাখা যায়? হোক না মণ্ডপের দরজা বন্ধ। শপিং সেরেই তাঁরা হাজির হয়ে যাচ্ছেন প্যান্ডেলে। গড়িয়াহাটে বাজার করে একডালিয়া এভারগ্রিনে প্রতিমা দর্শনে এসেছিলেন সোনারপুরের নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতাদেবী। পুজোর সময় শহরের বাইরে থাকবেন। তাই কেনাকাটা সেরে বাড়ি ফেরার পথে ঠাকুর দেখা। গড়িয়াহাটে বাজার সেরে এদিন অনেককেই কসবা শীতলামন্দির কিংবা রাজডাঙা নবোদয় সঙ্ঘের পুজো মণ্ডপে ঢুঁ মারতে দেখা গেল। হাতে শপিং ব্যাগ। বাবা-মাকে নিয়ে রাজডাঙার পুজো দেখাতে এসেছিলেন শান্তনু সরকার। বললেন, ‘এখন কিছুটা ফাঁকা। তাই ঘুরে নিচ্ছি। এরপর যা ভিড় জমবে, তখন আর মা-বাবার ঠাকুর দেখা হবে না! শনিবার থেকেই শহর বদলে যাবে ভিড়ের ছবিতে।’