মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
বৈঠকে সরকারের তরফে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, আলুর দাম আরও কমাতে উদ্যোগী হবে তাঁদের। হিমঘর থেকে বেরনোর পর জ্যোতি আলুর দাম কেজিতে ২৪ টাকার মধ্যে রাখার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। এতে খুচরো বাজারে আলু ২৯-৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা যাবে। হিমঘরগুলিতে এখনও প্রায় ২৩ লক্ষ টন আলু মজুত আছে। সেখানে আগামী দু’মাসে রাজ্যের চাহিদা প্রায় ১০ লক্ষ টন। মজুত আলু দ্রুত বের করে বাজারে সরবরাহ করার জন্য ব্যবসায়ীদের উদ্যোগী হতে বলেন বেচারামবাবু। তিনি জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়সীমার (৩০ নভেম্বর) পর এবার হিমঘর চালু রাখার অনুমতি মিলবে না। আলু এখন থেকেই বেশি পরিমাণে বের করতে হবে, না-হলে ব্যবসায়ীরাই সমস্যায় পড়বেন, তখন লোকসানের ধাক্কা সইতে হবে তাঁদের।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানান, চাহিদা মতোই আলু বের করা হচ্ছে। তবে বাজারে চাহিদা এখন কম। সরকারি পরামর্শ অনুযায়ী, আলুর দাম যতটা সম্ভব কম রাখারই চেষ্টা হচ্ছে। হিমঘর থেকে বেরনোর পর আলুর দাম এখন ২৫-২৬ টাকার মধ্যে আছে।
নবান্নের বৈঠকে ছিলেন—পঞ্চায়েত ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, কৃষি ও কৃষি বিপণন দপ্তরের সচিব ওঙ্কার সিং মিনা, পুলিস ও পুরসভার শীর্ষ আধিকারিকরা, সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সব্জির দামবৃদ্ধি নিয়ে এদিন আলোচনা হয়।
টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, গরমের সব্জির উৎপাদন এখন শেষের মুখে। গ্রামের যেসব হাটে গিয়ে চাষিরা সব্জি বেচেন সেখানেও জোগান কম। এজন্যই দাম অনেকটা বেড়েছে। লঙ্কা, টোম্যাটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁয়াজসহ বেশকিছু সব্জির পুরো জোগান আসছে ভিন রাজ্য থেকে। সেগুলিরও দাম বেশি। তবে পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরো বাজারের দামের ফারাক কমানো উচিত। এজন্য বাজারে নিয়মিত নজরদারি জরুরি।