মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ জুন সুবর্ণরেখা নদীর তীরের ওই অংশে চাষের কাজ করার সময় মাটি খুঁড়ে মেলে বিশালাকৃতির বোমাটি। ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে খবর দেওয়া হয় কলাইকণ্ডা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। গ্রামবাসীদের নিরাপদ দূরত্বে সরানো, বোমাটিকে ঘিরে পাঁচ হাজার বস্তার ‘স্যান্ড ওয়াল বাঙ্কার’ তৈরির করার কাজ শুরু হয়। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি এবং বায়ুসেনার শীর্ষস্তরে ছাড়পত্র মেলার পর শুক্রবার সকাল থেকে রাজ্য পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বালির বস্তা দিয়ে তৈরি বাঙ্কারের উচ্চতা ছিল প্রায় ৮ ফুট। এরপর বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে বিস্ফোরণ ঘটনো হয়। বিস্ফোরণের জোরাল শব্দে কেঁপে ওঠে চারিপাশ। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, বোমাটি উদ্ধারের পর সিআইডির বোম স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে জানায় এটি মারণাস্ত্র জাতীয়। পরে এক কিলোমিটার এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়। যাতে ওর ধারে কাছে কেউ না আসতে পারে। শুক্রবার সেটি নিষ্ক্রিয় করা হল। উদ্ধারের পর গ্রামবাসীদের একাংশ সিলিন্ডারের মতো দেখতে বস্তুটিকে বিশাল আকৃতির বোমা হিসেবেই অনুমান করেন। আবার অনেকে মনে করেন, এটি পুরনো দিনের সিলিন্ডার। যা মাটির নিচে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। এরপর গোপীবল্লভপুর থানার পুলিস এসে ফরেন্সিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। সেই রিপোর্ট হাতে পেতেই তাজ্জব বনে যান পুলিসের আধিকারিকরা। এটি আসলে যুদ্ধবোমা।
স্থানীয় বাসিন্দা সুখেন্দু মঙ্গল বলেন, এই এলাকায় আগেও মাটির নিচ থেকে বোমা উদ্ধারের কথা শোনা যায়। চাষের জন্য মাটি খুঁড়তেই বোমাটি উদ্ধার হয়েছিল। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল বহু প্রাচীন বোমা হতে পারে। পুলিস প্রশাসন ও বায়ু সেনা ভালো কাজ করেছে। ওই এলাকার বাসিন্দা দেবাশিস গিরি বলেন, ওই এলাকায় এরকম আরও কমপক্ষে ৩০টি বোমা মাটির নীচে রয়েছে।