মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘প্রথম সামেটিভ মূল্যায়ন ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। ফলও বেরিয়ে গিয়েছে। বছরের শুরুতে যেমন নির্দেশ ছিল এবং রিপোর্ট কার্ড দেওয়া হয়েছিল, সেই অনুযায়ী বিষয় পিছু ১৫ নম্বরের পরীক্ষা হয়েছে। এবার সেখানে আর পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাছাড়া, দ্বিতীয় সামেটিভ আগস্টের প্রথম সপ্তাহে। ২৫ নম্বরের পরীক্ষার জন্য সিলেবাস দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এখন ৫০ নম্বর করে প্রতি বিষয়ের পরীক্ষা হলে তো অভিভাবকরা ক্ষেপে যাবেন। সেই সঙ্গে নতুন পদ্ধতির মূল্যায়ন কত সময়ের মধ্যে নেওয়া হবে, তাও উল্লেখ করা নেই।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, ‘যে পরীক্ষা আগে হয়ে গিয়েছে, সেই নম্বর কীভাবে রিপোর্ট কার্ডে তোলা হবে, তার কোনও দিশা নেই। তাহলে কি ফের পরীক্ষা নিতে হবে? সেই আশঙ্কার মধ্যে দ্বিতীয় সামেটিভের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।’ প্রসঙ্গত, এতদিন ষষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষা হতো মোট ৮০০ নম্বরের। আর সপ্তম এবং অষ্টমের পরীক্ষা হত ৯০০ নম্বরের। এখন সেই মার্কস গিয়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০৫০ এবং ১২০০-তে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বড়সড় একটি পরিবর্তন এসেছে।
শিক্ষকদের দাবি, এটি যেহেতু পুরোপুরি অ্যাকাডেমিক বিষয়, তাই এই বিভ্রান্তি দূর করুক মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাঁরা বলছেন, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এটি কার্যকর করার নির্দেশে দেওয়া হলেই সবচেয়ে ভালো হয়। পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ‘আমরা হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড চালুর নির্দেশ স্কুলগুলিকে দিলেও এটি তৈরির সময় আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। তবে আমাদের পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও নির্দেশে পরিবর্তন করছি না।’ অর্থাৎ শিক্ষাদপ্তর তথা সমগ্র শিক্ষা মিশনের তৈরি করা হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ডের অসঙ্গতির দায় যে পর্ষদ নিতে চাইছে না, তা স্পষ্ট।