মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
এদিন একদিনের বিশেষ অধিবেশন বসে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। সেখানে শপথ নেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত। বিধানসভা উপ নির্বাচনে জয়ের এক মাস পর তাঁরা শপথ নিলেন। তাঁদের শপথবাক্য কে পাঠ করাবেন, তা নিয়ে এই এক মাস ধরে রাজভবনের সঙ্গে বিধানসভার টানাপোড়েন অব্যাহত ছিল। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের দিনেও দু’পক্ষের ‘ঠান্ডা লড়াই’ অব্যাহত থাকল। রাজ্যপাল নির্দেশ দিয়েছিলেন, জয়ী দুই সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এদিনের বিশেষ অধিবেশনে আশিসবাবু শপথ বাক্য পাঠ করাবেন না বলে জানিয়ে দেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, বিধানসভার অধ্যক্ষ যেখানে উপস্থিত, সেখানে তাঁর উপর এই দায়িত্ব বর্তানোর কথা নয়। এরপর সায়ন্তিকা ও রেয়াতকে অধিবেশন কক্ষে ডেকে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান বিধানসভার অধ্যক্ষ।
কোন নিয়মে এই শপথ গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে, তার ব্যাখ্যা হিসেবে বিধানসভার রুল ও গাইডলাইনের অধ্যায় দুই, রুল পাঁচ তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা আছে, সংবিধানের ১৮৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আগেই কোনও সদস্যের শপথ গ্রহণ না হয়ে থাকলে তিনি প্রধান সচিবের কাছে লিখিতভাবে নোটিস দিয়ে অধ্যক্ষের নির্ধারিত সময়ে শপথ নিতে পারবেন। তবে শপথ গ্রহণ শেষ হওয়ার পরই রাজ্যপালের তরফে নির্দিষ্ট ধারা উল্লেখ করে জানিয়ে দেওয়া হয়, সংবিধান সমস্ত নিয়মের ঊর্ধ্বে। সেই সংবিধান অমান্য করেই শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন অধ্যক্ষ। গোট বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। বিধানসভার অধ্যক্ষ বলেন, ‘রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ায় আমি খুশি। আমরা আগেই রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছি। রাজ্যপালের কোনও কথার জবাব আমি দেব না। রাজ্যপালের কোনও ক্ষমতা নেই স্পিকারকে অপসারণ করার। যা করেছি, নিয়ম মেনেই করেছি।’
ফলে শপথ নিয়ে রাজভবন-বিধানসভা সংঘাত কমার বদলে নতুন মাত্রা পেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিধানসভায় এভাবে শপথ গ্রহণ পশ্চিমবঙ্গের পরিষদীয় রাজনীতিতে প্রথম বলে জানাচ্ছেন অভিজ্ঞরা। আগামী ১৩ তারিখ রাজ্যের আরও চারটি বিধানসভা উপ নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হবে। যাঁরা জিতবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে যেন কোনও জটিলতা তৈরি না হয়, সেই আবেদন রাজ্যপালের কাছে ইতিমধ্যেই রেখেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সায়ন্তিকা এবং রেয়াত জানিয়েছেন, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর জয়ের অনুভূতি হচ্ছে শপথ নেওয়ার পর।