নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিয়ন্ত্রণে আসেনি মৃত্যু। সংক্রমণ এখনও সাড়ে তিন হাজারের ঘরে। তাই সামান্য ছাড় দিয়েই দীর্ঘায়িত হচ্ছে কঠোর আত্মশাসন পর্ব। আগামী কাল, বুধবার থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে বাড়ানো হল বিধিনিষেধের সময়সীমা। সোমবার নবান্নে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পর্বে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শপিংমল, রেস্তরাঁ-পানশালা, পার্ক শর্তসাপেক্ষে আংশিকভাবে খুললেও গণপরিবহণে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে। অর্থাৎ, আরও ১৫ দিন বাস-ট্রেন-ফেরি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। তবে স্পেশাল ট্রেন, রোগী পরিবহণ, বিমানবন্দর বা অন্য টার্মিনাল পয়েন্টে যাতায়াত, সংবাদমাধ্যমের মতো জরুরি কাজের জন্য ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্যাক্সি এবং অটো ব্যবহার করা যাবে। বাজারের সময় একঘণ্টা এবং খুচরো দোকানের খোলার মেয়াদ তিন ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাস-ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি ভাবনাচিন্তা করা হয়েছিল। কিন্তু, করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখনও ৮০-র কাছাকাছি থাকায় আরও এক পক্ষকাল গণপরিবহণে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, মৃত্যু কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে আত্মশাসন পর্ব মাঝেই বাস চালানো হতে পারে বলে খবর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘কিছু দোকান খুলে রাখার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আমরা ২ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছি। এতে বাংলা অনেকটা নিরাপদ রয়েছে। নির্বাচনের সময় আক্রান্তের হার বেড়ে ৩২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। বর্তমানে তা কমে ৬ শতাংশে নেমেছে। আরও কমাতে হবে। তাই আগামী ৩০ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কিছু ছাড় দিয়েই বিধিনিষেধ জারি থাকবে।’
আগামী বুধবার থেকে সরকারি দপ্তরে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হবে। কোন কোন কর্মী কাজে যোগ দেবেন, সেই ডিউটি রোস্টার এবং যাতায়াতের ব্যবস্থা করবেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধান। ২৫ শতাংশ হাজিরা নিয়েই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বেসরকারি অফিস চালু করা যাবে। ব্যাঙ্কের সময়সীমা থাকছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত।