মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
বউবাজারে মেট্রোর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কার করে পশ্চিমমুখী টানেল দিয়ে ইতিমধ্যেই ট্রায়াল রান সফল হয়েছে। বহু প্রতীক্ষার পর পাতালপথে শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পথ জুড়তে চলেছে। বর্তমানে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ-শিয়ালদহ এবং এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দানের মধ্যে মেট্রো চালু আছে। ভিন্ন দু’টি সিগনালিং ব্যবস্থায় চলছে এই জোড়া করিডর। তবে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান রুটে মেট্রো চালাতে অভিন্ন সিগনালিং ব্যবস্থা বসাতে হবে। এই কাজের বরাত পেয়েছে ফরাসি এক সংস্থা। তারা কমপক্ষে দেড়মাস রুট বন্ধ রেখে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। রেল বোর্ডের তরফে তার প্রাথমিক অনুমোদনও দিয়ে দেওয়া হয়। তবে কাজ শুরুর আগে রাজ্য সরকারের আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র রেল পায়নি।
সম্প্রতি রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করতে পরিবহণ ভবনে গিয়েছিলেন মেট্রো কর্তারা। একটানা দেড় মাস মেট্রো বন্ধ থাকলে সাধারণ মানুষের চূড়ান্ত দুর্ভোগ হবে বলে জানান মন্ত্রী। পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর চালু অংশে দৈনিক ৯০ হাজারের কাছাকাছি যাত্রী পরিষেবা পান। একই সঙ্গে ওই সময় আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলাও চলবে। পাশাপাশি বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হবে। সবমিলিয়ে রাজ্যের তরফে একনাগাড়ে মেট্রো বন্ধ না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই পরামর্শ মেনে নেয় রেল। জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রস্তাব মেনে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পর্যায়ক্রমে মেট্রো বন্ধ রেখে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় ১৩ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দু’টি অংশ বন্ধ থাকবে। দ্বিতীয় দফায় ২২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পরিষেবা বন্ধ রেখে হবে কাজ। তারপর মূলত শনি-রবিবার এই দু’টি রুট বন্ধ রেখে কাজ হবে। পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘একটানা দেড়মাস মেট্রো বন্ধ রাখলে গোটা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হবে। তাই আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করার কথা বলেছিলাম। আমরা খুশি, মেট্রো রেল সেভাবেই কাজ করবে। সে সময় সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য বাড়তি সরকারি বাস রাস্তায় চলবে। সেগুলি অতিরিক্ত ট্রিপ করবে। একই সঙ্গে বেসরকারি বাস মালিকদেরও ওই সময় বাড়তি পরিষেবা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।’