মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
বস্তুত, তৃণমূল নেত্রী বরাবর বলে থাকেন, তৃণমূল দলটি তৈরি হয়েছে মানুষের জন্য। জনসেবাই হল এই দলের মূল ভিত্তি। ব্যক্তিস্বার্থ নয়, সাধারণ মানুষের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেওয়া কর্তব্য। কিন্তু ইদানীং তৃণমূলের নজরে এসেছে ব্লক স্তরের নেতা থেকে বিধায়ক কিংবা প্রাক্তন সাংসদের আচরণ দলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যে নেতারা দল বিরোধী কাজ করেছেন, তাঁদের কোনও অবস্থাতেই রেয়াত করছেন না তৃণমূল সুপ্রিমো। তাতে দেখা গিয়েছে, দল বিরোধী কাজের অভিযোগে প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন ও প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমনকী, দল বিরোধী মন্তব্য করার জন্য ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে শোকজ করে সতর্ক করেছে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। এই তালিকায় নবতম সংযোজন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। খারাপ আচরণের জন্য তাঁকেও শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি শোকজ করতে চলেছে। আর মালদহে দুলাল সরকার খুনে শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে বহিষ্কার করে তৃণমূল।
১৩ বছর পার করে রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল এখন পরিধিতে অনেক বড় হয়েছে। কিন্তু সরকারি ক্ষমতায় আছে বলে কেউ সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফুলেফেঁপে উঠবে, তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করছেন না তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ইদানীং সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে খবর এসেছে, কোথাও তোলাবাজির অভিযোগ। আবার কোথাও ‘দলের থেকে ব্যক্তি বড়’ প্রাধান্য দিয়ে ফেলছেন কেউ। এই প্রেক্ষাপটে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে মমতা বুঝিয়ে দিচ্ছেন, এসব চলবে না। যত বড় নেতাই হোন, যে যাঁর ঘনিষ্ঠ হোন না কেন, অভিযোগ এলে রেয়াত নয়, এটাই মমতার অবস্থান। সূত্রের খবর, আরও কয়েকজনের নামে অভিযোগ এসেছে। তাঁদের উপর কড়া নজরদারি চলছে। কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। দিনকয়েক আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, দলীয় শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে কেউ নয়। শৃঙ্খলাপরায়ণ হয়েই দল করতে হবে সকলকে। কিছু লোক ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন বা নিজেদের কেউকেটা বলে ভাবছেন! তৃণমূলের দরজা তাঁদের জন্য আগামী দিনেও বন্ধ থাকবে। দলের অভ্যন্তরে চর্চা চলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কোনও সভা করে দলের অবস্থান ও নির্দেশ সুস্পষ্টভাবে জানান দিতে পারেন মমতা ও অভিষেক।