নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নতুন প্রজন্ম। গাড়ি সেকেন্ড হ্যান্ড। ‘জেনারেশন বিটা’র দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এটাই লক্ষ্যমাত্রা ভারতের। চাকরি পাওয়া মাত্রই টার্গেট ঠিক করে নিচ্ছে তারা—নিজের গাড়ি চাই। কিন্তু সেকেন্ড হ্যান্ড। প্রথমেই নতুন গাড়ির বিপুল ‘লগ্নি’র ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। কিন্তু তাতে তো ঝোঁক কমছে না! তাই সেকেন্ড হ্যান্ড। টাকা বাঁচবে, সঙ্গে স্টিয়ারিংয়ে হাতটাও সেট হয়ে যাবে। সদ্য রোজগেরেদের এই প্রবণতার রিপোর্টই উঠে এসেছে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত এক সংস্থার রিপোর্টে। তারা দাবি করেছে, ২০২৪ সালে ‘প্রি-ওনড’ গাড়ির ক্রেতাদের গড় বয়স ছিল ৩২ বছর। অথচ, ২০২৩ সালে ক্রেতাদের এই ধরনের গাড়ি কেনার গড় বয়স ছিল ৩৪ বছর। পাশাপাশি সংস্থাটি জানিয়েছে, মহিলাদের মধ্যেও ‘হাত ফেরতা’ গাড়ি কেনার প্রবণতা বেড়েছে। প্রতি একশোটি গাড়ি বিক্রি হলে, মহিলারাই কিনছেন ২৬টি। আগে এই সংখ্যা ছিল ২০টির আশপাশে। যেসব মহিলা গাড়ি কিনছেন, তাঁদের প্রথম পছন্দ অটোম্যাটিক হ্যাচব্যাক গাড়ি। অন্তত ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে মহিলারা এই গাড়ির দিকেই ঝুঁকছেন। কম্প্যাক্ট এসইউভি জাতীয় গাড়ির চাহিদা মহিলাদের কাছে ১৮ শতাংশ। সংস্থাটি তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, সেকেন্ড গাড়ির ক্রেতাদের ৭৬ শতাংশই প্রথমবার চার চাকা কিনছেন। যাঁরা ব্র্যান্ড নিউ কার ছেড়ে এই ধরনের গাড়ির দিকে ঝুঁকছেন, তাঁদের ৭৪ শতাংশই সংস্থার নিজস্ব গোডাউনে গিয়ে দেখে-শুনে পছন্দ করছেন। অর্থাৎ অনলাইনে অর্ডার দিয়ে বাড়িতে সরাসরি ডেলিভারি নেওয়ার হার অনেকটাই কম। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পুরনো গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে পেট্রলচালিত চার চাকার চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। ১০০টি গাড়ির মধ্যে ৮২টিই পেট্রলচালিত। ডিজেলের ক্ষেত্রে তা মাত্র ১২ শতাংশ। ২০২৩ সালে পেট্রলচালিত গাড়ি কেনার হার একটু কম ছিল। সে জায়গা দখল করেছিল ডিজেল। তবে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা অনেকটাই কম। ১০০টির মধ্যে মাত্র দু’টি ইলেকট্রিক কার।
আর পুরনো গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে সবাই যে নগদ পয়সা খরচ করছেন, তা কিন্তু নয়। ৫৬ শতাংশ ক্ষেত্রে ঋণ নিয়ে গাড়ি কেনার ঝোঁক রয়েছে। এঁদের মধ্যে আবার ৬০ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ প্রথমবার রোজগারের স্বাদ পেয়ে ঋণ নিয়ে গাড়ি কেনার প্রবণতা বাড়ছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে। তাঁদের পছন্দের গাড়ির রং? সাদা, লাল ও স্টিল কালার, বলছে রিপোর্ট।