মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
কামারহাটি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধোবিয়া বাগান এলাকায় পুকুর ভরাট করে নির্মত একটি বহুতল হেলে গিয়েছিল। বাঘাযতীনের মতো এখানেও প্রোমোটার সেই বহুতল সোজা করার কাজ করছিলেন। মঙ্গলবার তা নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পুরসভার চেয়ারম্যান ও পুলিস পরিদর্শন করে। পুরসভা ওই বাড়ির নির্মাণকাজ বন্ধ করার জন্য ‘স্টপ অর্ডার’ দেওয়ার পাশাপাশি থানায় এফআইআর দায়ের করেছিল। বৃহস্পতিবার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফাঁড়িবাগান এলাকার একটি হেলে যাওয়া বহুতল নিয়ে নতুন করে ক্ষোভ ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দা রুকসানা বিবি, মহম্মদ আনোয়ার বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে এই পাঁচতলা ফ্ল্যাটটি হেলে রয়েছে। যেকোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। কাউন্সিলার ও পুরসভাকে বহুবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।’ তবে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি কামারহাটির যে ২৫টি বহুতল নিয়ে থানায় এফআইআর হয়েছে, তারমধ্যে ওই আবাসনটিও রয়েছে। যদিও এসব নিয়ে ডেভেলাপারদের মধ্যে কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারহাটির ১ থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ড কার্যত বিভিন্ন বাহুবলীর নিয়ন্ত্রণে থাকে। তারাই মদ, জুয়া, সাট্টা সহ বেআইনি নির্মাণেও মদত দেয়। পুলিস ও পুরসভার কোনও ভূমিকা নেই বললেই চলে। অসাধু প্রোমোটাররা এই বাহুবলীদের বখরা দিয়ে কাজ শুরু করে দেয়। বাহুবলীরা লাভের হিস্যা যতাস্থানে পৌঁছে দেয়। তারপর বেআইনি নির্মাণ তুলতে আর কোনও সমস্যা হয় না। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ১০-২০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে লেখালেখি করে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও আবার প্রোমোটার নিজেই ভাড়াটিয়া বসাচ্ছেন। এলাকাবাসীর দাবি, সামান্য ভূমিকম্প হলেই কামারহাটির এসব এলাকা ভগ্নস্তূপে পরিণত হবে। কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, ‘আমরাও অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়ছি। আইনের তোয়াক্কা না করে বহুতল তৈরি হচ্ছে। পুরসভার নোটিসকে তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হবে বলে আশা করছি।’ ফাইল চিত্র