মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
৩১ জানুয়ারির মধ্যে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে এই কমিটি। ফলে হাতে আর বেশি সময় নেই। রিপোর্ট তৈরির আগে আরও একটি বৈঠক করার সুযোগ মিলবে। সূত্রের খবর, সদস্যরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরনো মামলার কপি খুঁটিয়ে পড়ছেন। খসড়ার কোনও অংশ আদালতের নির্দেশের পরিপন্থী কি না, তা খোঁজার চেষ্টা চলছে। তবে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে বিশেষ করে ভাবতে হচ্ছে কমিটিকে। কারণ, এতে দু’টি ভাগ রয়েছে। প্রথমত, ন্যূনতম ১০ বছর অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা তো দূরের কথা, শিক্ষকতার কোনও অভিজ্ঞতা না থাকা ব্যক্তিদেরও উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে খসড়ায়। শিক্ষামন্ত্রক তথা ইউজিসির বক্তব্য, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে থাকা বা শিল্পসংস্থাকে সুদক্ষভাবে পরিচালনা করা ব্যক্তিদের উপাচার্য হওয়ার সুযোগ পাওয়া উচিত। এতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাইরে থেকে তহবিল আনা, পড়ুয়াদের উদ্যোগপতি হিসেবে গড়ে তুলতে সুবিধা হবে। সার্বিকভাবে উন্নতি হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল র্যাঙ্কিংয়ে। এই যুক্তি নিয়ে শিক্ষাবিদদের মধ্যে জোরালো আপত্তি রয়েছে। রাজ্য কোন কোন পাল্টা যুক্তি দিয়ে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে পারে, সেগুলি সঙ্কলনের কাজও শুরু হয়েছে। তবে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে আচার্যকে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি বেশ গোলমেলে। এই ব্যবস্থা আগেও ছিল। রাজ্য পরে বেশ কিছু সংশোধনী এনে সেই ক্ষমতা খর্ব করে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টও আচার্যের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে। এদিকে, রাজ্য সরকার খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই আচার্য হিসেবে নিয়োগের বিল পাশ করিয়ে রেখেছে, যাতে রাজ্যপাল এখনও সই করেননি। এই অবস্থায় আচার্যকে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া সমর্থন করা হবে, না কি বিরোধিতা, তা নিয়েও ধন্দে রয়েছে কমিটি।
একজন সদস্য বলেন, ‘কমিটি খুব ভারসাম্য রেখে তৈরি করা হয়েছে। কলা, সমাজবিজ্ঞান, বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং সহ সমস্ত ক্ষেত্রের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। আবার বিশ্ববিদ্যালয় আইন জানা আধিকারিক, অধ্যাপক নিয়োগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা, প্রাক্তন এবং বর্তমান উপাচার্যদেরও রাখা হয়েছে। তাই রাজ্যের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়, কেন্দ্রের এমন কোনও প্রস্তাবে তাঁরা সায় দেবেন না। রাজ্যপাল হিসেবে আচার্যের সই চূড়ান্ত হলেও তিনি কখনও রাজ্যের প্রস্তাব খারিজ করে নিজের প্রার্থী বসাতেন না। সেটাই এখন হচ্ছে।’