পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তারকেশ্বরের ওই স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান ছিল। আরামবাগে যার বাড়ি, সে হরিপালে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। সেখানকার তিন ছাত্রীর সঙ্গে সেও গিয়েছিল তারকেশ্বরের ওই স্কুলে ক্রীড়ানুষ্ঠান দেখতে। চারজনই স্কুলের পোশাক পরেছিল। তারা স্কুলে গেলেও আর বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে পরিবারের সদস্যরা। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাদের না পাওয়ায় শেষমেশ পরিবারের সদস্যরা তারকেশ্বর থানার দ্বারস্থ হন। অভিযোগ পাওয়ামাত্র তারকেশ্বর থানা হুগলি গ্রামীণ জেলার সব থানাকে নিখোঁজের বিষয়টি জানায়। তদন্তে নেমে পুলিস কাটোয়ার এক যুবকের সঙ্গে নাবালিকাদের যোগাযোগের সূত্র খুঁজে পায়। দেখা যায়, ওই যুবকের মোবাইল ফোন বন্ধ। চার ছাত্রীর মধ্যে একজনের ফোনও ‘সুইচড অফ’ পাওয়া যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তালাশ করে পুলিস ওই নাবালিকাদের সঙ্গে আরও এক যুবকের যোগাযোগের হদিশ পায়। বের করা হয় তার মোবাইল ফোন নম্বর। লোকেশন ট্র্যাক করতে গিয়ে দেখা যায়, শেওড়াফুলি থেকে তার টাওয়ার লোকেশন দ্রুত বদল হচ্ছে। ধারণা করা হয়, সে নিশ্চিতভাবেই ট্রেনে সফর করছে। রাত ৮টা নাগাদ বলাগড় থানাকে সক্রিয় হতে বলা হয়। জানা যায়, ওই সময়ে হাওড়া-কাটোয়া গ্যালোপিন লোকাল ওই পথে ছুটছে। বলাগড় থানার বিরাট পুলিস বাহিনী ওই লোকালকে টার্গেট করে। শেষমেশ ট্রেনে উঠে একসঙ্গে সবক’টি বগিতে তল্লাশি শুরু করে।
ততক্ষণে নিখোঁজ ছাত্রীদের ছবি হাতে পেয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই ছবি দেখে চলন্ত ট্রেনেই শনাক্ত করা হয় চার ছাত্রীকে। হুগলির বেহুলা স্টেশনে চার নাবালিকাকে ট্রেন থেকে নামায় পুলিস। তারপর ওই রাতেই বলাগড় থানা থেকে তারকেশ্বরে নিয়ে আসা হয় তাদের। তবে অভিযুক্ত যুবককে পাকড়াও করা যায়নি। শীতের পোশাকের আড়ালে মুখ লুকিয়ে সে গা-ঢাকা দিয়েছে। চার নাবালিকাকে ফুসলিয়ে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। ওই যুবকের সঙ্গে নারী পাচার চক্রের যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হুগলি জেলা পুলিস তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজে না নামলে এই চার ছাত্রীর বড়সড় বিপদ হতে পারত। এমনকী, বিক্রিও হয়ে যেতে পারত।