পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
আজ বাঘের জঙ্গলে ফিরে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন ডিএফও। তবে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে ফেন্সিং দেওয়ার যে দাবি তোলা হয়েছে, তা বাস্তবসম্মত নয় বলেই জানিয়েছেন ডিএফও। তিনি জানান, স্বাভাবিক উপায়ে বাঘকে জঙ্গলে ফেরানোই মূল লক্ষ্য ছিল। এক্ষেত্রে বাঘকে বিরক্ত করে জঙ্গলে ফেরানো হয়েছে। পাশাপাশি, এলাকাবাসীরা যাতে জাল না কাটতে পারে তার জন্য সচেতনতা বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে, বাঘ ‘ঘরে’ ফিরে যাওয়ায় খাঁচাও তুলে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তাকে ফাঁদে ফেলতে যে জাল লাগানো হয়েছিল তাও ধীরে ধীরে খুলে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ডিএফও।
উল্লেখ্য, বৈকুন্ঠপুর এলাকায় বাঘের আতঙ্ক দেখা যায় সোমবার থেকে। ওইদিন সকালে কিশোরীমোহনপুর এলাকায় বাঘের ছাপ দেখতে পায় এলাকার বাসিন্দারা। তারপর দক্ষিণ বৈকুন্ঠপুর সংলগ্ন জঙ্গলে বাঘের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। দ্রুত বনদপ্তরের কর্মীরা সেই জঙ্গল ঘিরে ফেলেন, কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে যায় বাঘ। প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে উত্তর বৈকুন্ঠপুর সংলগ্ন জঙ্গলে ফের বাঘের খোঁজ মেলে। ফের এই জঙ্গল ঘেরার কাজ করে বনদপ্তর। পাতা হয় খাঁচাও। টোপ হিসেবে ছাগলও রাখা হয়। সন্ধে থেকে বাঘকে গভীর জঙ্গলে ফিরিয়ে দিতে একাধিকবার শব্দবাজি ফাটানো হয়।
বনদপ্তর মনে করছে, এই শব্দবাজি ফাটানোর সময় নদীতে ভাটা ছিল। তখনই বাজির শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে বাঘ নদী পেরিয়ে জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে। আজ, বুধবার সকালে জলপথে ও জালঘেরা অংশে তল্লাশি চালিয়ে বাঘের হদিস পাওয়া যায় নি। এছাড়াও, উত্তর বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আজমলমারির জঙ্গলে ফিরে যাওয়ার বাঘের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। যা দেখে বনদপ্তর নিশ্চিত যে বাঘ গভীর জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে।