অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
তদন্তকারীরা দাবি করছেন, ব্যাঙ্ক ও বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা (যার মধ্যে রাজ্য সরকারের ওয়েস্টবেঙ্গল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স কর্পোরেশনের কোটি কোটি টাকাও রয়েছে) থেকে যে বিশাল পরিমাণ অর্থ ঋণ বাবদ নেওয়া হয়েছিল, তার সিংহভাগই (১১৪৭৪.৪৮ কোটি টাকা) দুবাই, থাইল্যান্ড, মরিশাস সহ পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশে পাচার করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক জালিয়াতির এই মামলায় সঞ্জয় সুরেখার সংস্থা ‘মেসার্স কনকাস্ট স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড’-এর আরও তিন ডিরেক্টরকে জেরা করছে তদন্তকারী সংস্থা। আর কোনওরকম সিকিওরিটি ছাড়া কীভাবে বিপুল ঋণ মিলল, তা জানতে জেরা করা হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেশ কয়েকজন আধিকারিককেও।
তদন্তকারীরা বলছেন, শিল্পপতি সঞ্জয় সুরেখার চারটি কারখানা রয়েছে। দু’টি এরাজ্যের সোদপুর এবং বাঁকুড়ায়। বাকি দু’টি ওড়িশার ঝাড়সুগদা ও অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে। এই কারখানাগুলিকে সামনে রেখে ২২টি ‘ভুয়ো’ কোম্পানির নামে গত ২০০৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৭’র নভেম্বর পর্যন্ত দফায় দফায় ওই বিশাল পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়েছিলেন সুরেখা ও তাঁর সহযোগীরা। রাষ্ট্রায়ত্ত এসবিআই সহ তাদের কনসর্টিয়ামের অন্তর্গত মোট ১২টি ব্যাঙ্ক থেকে কখনও লেটার অব ক্রেডিট, কখনও ক্যাশ ক্রেডিট ও টার্ম লোন বাবদ ঋণ নেওয়া হয়। সেই টাকায় বিভিন্ন কারখানা গঠনের কাজের অগ্রগতি দেখিয়ে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেটও জমা দেওয়া হয়। অথচ সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের। কারখানার কোনও নামগন্ধ নেই সেখানে। অভিযোগ জানানো হয় সিবিআইয়ের ‘ব্যাঙ্ক সিকিউরিটিজ ফ্রড ব্র্যাঞ্চে’। স্টেট ব্যাঙ্কের শেকসপিয়র সরণি শাখার তৎকালীন ডিজিএম পৃথ্বীজিৎ দাস এফআইআর দায়ের করেন। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সেই তদন্তপর্বে স্পষ্ট হয় বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়টি। এরপরই ময়দানে নামে ইডি।