অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
১৯২৪ সালে শুরু হয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দরের পথচলা। তাই এ বছর কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছে। আগামী শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টের সময় কলকাতা বিমানবন্দরের প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানটি হবে। অনুষ্ঠানের জন্য যে হোর্ডিং তৈরি হয়েছে, তাতে একদিকে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি। অন্যদিকে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নাইডু কিনজারাপু ও মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মুরলিধর মোহলের ছবি রয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হচ্ছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী। আমন্ত্রণপত্রেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নামই রয়েছে। অনুষ্ঠান সূচির যে খসড়া হাতে এসেছে, তাতেও মুখ্যমন্ত্রীর নাম ও বক্তব্য রাখার সময়ের কোনও উল্লেখ করেনি কেন্দ্র। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী বা নবান্নের প্রশাসনিক কর্তাদের যে বক্তব্য রাখার সময় দেওয়া হবে না, তা কেন্দ্র আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। ওই সূচিতে দেখা যাচ্ছে, বিকেল সাড়ে ৪টের সময় অনুষ্ঠান শুরু হবে নেতাজি মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে। তারপর পর্যায়ক্রমে বক্তব্য রাখবেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ভিপিন কুমার, কেন্দ্রীয় সচিব ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বক্তব্য রাখার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে সৌগতবাবুকেও।
এর আগে কলকাতা বন্দরের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে যে অনুষ্ঠান হয়েছিল, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। সাংসদ সৌগতবাবু বলেন, ‘অনুষ্ঠানের জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কী কী করছে, তা আমার জানা নেই। গত কয়েকদিন ধরে আমি দিল্লিতে সংসদের অধিবেশনে রয়েছি।’ বিমানবন্দরের তৃণমূল প্রভাবিত ইউনিয়নের নেতা বরুণ নট্ট বলেন, ‘কেন্দ্রের তরফে ভদ্রতা, সৌজন্য কাম্য। বিমানবন্দরের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম, ছবি দিয়ে হোর্ডিং দেওয়া উচিত ছিল কেন্দ্রের।’ যদিও বিমানবন্দরের শীর্ষ আধিকারিকদের দাবি, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।