অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে নেমে হাওড়া স্টেশনের দিকে যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ফোরশোর রোড। আবার এই রাস্তা দিয়েই হাওড়া স্টেশন থেকে পূর্ব মেদিনীপুরগামী বাসগুলো সরাসরি কোনা এক্সপ্রেসে যায়। শোনা যায়, একসময় ফোরশোর রোডের ধার ঘেঁষেই চলাচল করতো মার্টিন রেল। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার পাশে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হাওড়া পুরসভার উদ্যোগে তৈরি করা হয় শ্রীপূর্ণা পার্ক। ৩২৬ মিটার দীর্ঘ পার্কটিকে ফুটিয়ে তোলা হয় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে। সবুজসাথী, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, কৃষকবন্ধু, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারসহ ৪০টি সরকারি প্রকল্পের ছবি ও বিস্তারিত বিবরণ দেখতে পায় আম জনতা। শ্রীপূর্ণা পার্ক নজর কাড়ে মুখ্যমন্ত্রীরও। হাওড়া শহরের এই পার্কের আদলে রাজ্যের অন্যান্য স্থানেও পরবর্তীকালে একই ধরনের পার্ক তৈরি হয়। এবছরের গোড়ার দিকে শ্রীপূর্ণা পার্কে হাওড়া শহরের হেরিটেজ তুলে ধরে হাওড়া পুরসভা। সেখানে স্থান পায় হাওড়া ব্রিজ, বেলুড় মঠ, হাওড়া স্টেশন, বোটানিক্যাল গার্ডেন, আন্দুল রাজবাড়ির মতো হাওড়ার দ্রষ্টব্য স্থানগুলো। পোশাকি নাম রাখা হয় ‘হেরিটেজ অব হাওড়া’।
পুরসভা সূত্রের খবর, শ্রীপূর্ণা পার্কের পরবর্তী আকর্ষণ হতে চলেছে ‘ফেস্টিভ্যালস অব ইন্ডিয়া’। অর্থাৎ গোটা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলোকে একইসঙ্গে তুলে ধরা হবে এখানে। বাংলার দুর্গাপুজো, রথযাত্রার পাশাপাশি একইসঙ্গে দেখা যাবে বিহু, পোঙ্গল, রামনবমী, গণেশ চতুর্থী, ওনামের মতো ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। ফোরশোর রোডের পাশে শ্রীপূর্ণা পার্কের নতুন সম্প্রসারিত প্রায় ২০০ মিটার অংশে উঠবে ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যেই পার্ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছে হাওড়া পুরসভা। এই কাজে খরচ হচ্ছে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘হাওড়া শহর হল মিনি ভারত। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে শুধু কাজের সূত্রে আসাই নয়, এই শহরে বসবাস করেন বহু ভাষার মানুষ। তাই শ্রীপূর্ণা পার্কের হেরিটেজ অব ইন্ডিয়া নিঃসন্দেহে হতে চলেছে সংহতির এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগেই পার্কের কাজ সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার।