মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের মূলত তিনটি বড় পুজোর জন্য ছোট- বড় ৫০টি ড্রপ গেট ও বেশ কিছু পুলিস ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে শহরজুড়ে মোতায়েন থাকবে ২০০ পুলিসকর্মী ও ২৫০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার। সেই সঙ্গে থাকছেন অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক। শহরের কয়েকটি রাস্তাকে পুজোর সময় ‘নো-এন্ট্রি’ করা হচ্ছে। টোটো নিয়ন্ত্রণের জন্যও করা হচ্ছে বিশেষ পদক্ষেপ।
বিগত বছরগুলির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারও কল্যাণীর পুজোগুলিকে বড়, মাঝারি ও ছোট— এই তিন ভাগে ভাগ করেছে পুলিস। কল্যাণী এ নাইন স্কোয়ার পার্ক, রথতলা সর্বজনীন ও আইটিআই মোড় লুমিনাস ক্লাবের পুজোর উপর বাড়তি নজরদারি থাকছে। বিভিন্ন দিক থেকে শহরে প্রবেশের মোট পাঁচ জায়গায় ছোট ও বড় তিন-চার চাকার যানবাহন আটকে দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। কল্যাণী সীমান্ত, ঘোষপাড়া স্টেশন, সেন্ট্রাল পার্ক, বুদ্ধ পার্ক ও পুরসভা মোড়ে আটকানো হবে গাড়ি। অ্যাম্বুলেন্স সহ জরুরি পরিষেবার জন্য অবশ্য ছাড় মিলবে। আইটিআই মোড় লুমিনাস ক্লাবের মণ্ডপের কাছেই কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশন। এই পুজোয় যে এবারও ভিড় ভেঙে পড়বে, মহালয়াতেই তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। গত বছর এখানকার ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে শিয়ালদহের দিক থেকে আসা ট্রেনগুলিকে ঘোষপাড়া স্টেশনে না দাঁড় করিয়ে অন্তিম স্টেশন কল্যাণী সীমান্তে যাত্রী নামানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ বছরও সেই নিয়ম থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ফেরার সময় সেই ট্রেন দাঁড়াবে ঘোষপাড়া স্টেশনে। এছাড়া, গত বছরের মতো এবারও কল্যাণী মেইন স্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত একাদশী ও দ্বাদশীর সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। কল্যাণী পুরসভার চেয়ারম্যান নীলিমেশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘আমরা রেলকে চিঠি দিয়ে আবেদন করেছি। পুলিসকে সহযোগিতা করবেন পুরসভার কর্মীরা।’
কল্যাণী লুমিনাস ক্লাবের এবারের মণ্ডপ গড়ে উঠেছে ব্যাংককের অরুণ মন্দিরের আদলে। মণ্ডপজুড়ে ঝিনুকের অপরূপ কারুকার্য ইতিমধ্যে বহু মানুষকে মুগ্ধ করেছে। মণ্ডপের উচ্চতা প্রায় ১৭০ ফুট। প্রতিমায় পরানো হয়েছে ৮৫ কেজির সোনার গয়না। এহেন পুজোর জন্য স্বভাবতই পুলিস ও প্রশাসনের বাড়তি নিরাপত্তা থাকছে। এই পুজোর কর্ণধার অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা সবদিক থেকে প্রস্তুত। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সমস্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’ মণ্ডপ শিল্পী উইলিয়াম সরকার বলেন, ‘কয়েকশো কুইন্টাল ঝিনুক দিয়ে মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হয়েছে। প্রতিদিন ৬০-৭০ জন কর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। পাঁচ মাস ধরে কাজ হয়েছে। আশা করছি, এবারের ভিড় আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেবে।’