মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
আদালত সূত্রে খবর, ওই অভিজাত পরিবারের হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন দয়ানন্দ। গত ২৮ জুন ভোর পাঁচটা নাগাদ তিনি গাড়ি নিয়ে আবাসন থেকে বের হন। সঙ্গে ছিলেন বাড়ির মালকিন। কিছুটা যাওয়ার পর স্টিয়ারিং হাতে নেন ওই তরুণী। দয়ানন্দ পাশের সিটে গিয়ে বসেন। বাইপাসের উপর মালকিনকে গাড়ি চালানো শেখাচ্ছিলেন তিনি। কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম পর্যন্ত কোনও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু আচমকা গাড়ির সামনে এসে পড়েন শুভেন্দুবাবু। অভিযোগ, দ্রুত ব্রেক কষতে না পেরে সোজা তাঁর উপর গাড়ি তুলে দেন তরুণী। খবর পেয়ে আসে সার্ভে পার্ক থানার পুলিস। শুভেন্দুবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এরপরই ‘খেলা’ শুরু হয় পুলিসের। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘লার্নার লাইসেন্স’ ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তাঁর নাম অভিযুক্ত তালিকায় রাখা হয়নি। চালকের ভুলেই দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর অভিযোগ এনে দয়ানন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠায়। পরে এজলাসে দয়ানন্দের আইনজীবী বলেন, ‘আমার মক্কেল নেহাতই ছাপোষা মানুষ। মালকিনের কথামতো তিনি কাজ করছিলেন।’ এখান থেকেই মামলা অন্যদিকে মোড় নেয়। মৃতের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেন, ‘ড্রাইভিং সিটে ছিলেন ওই তরুণী। ধনী পরিবারকে বাঁচাতেই লঘু ধারায় মামলা করা হয়েছে।’ এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই দয়ানন্দকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে দয়ানন্দের আইনজীবী ফের দাবি করেন, ‘আমার মক্কেল গরিব। মালকিনের কথা তিনি কীভাবে অস্বীকার করবেন?’ মৃতের আইনজীবীদেরও অভিযোগ, বিত্তশালী হওয়াতেই পুলিস তরুণীকে বাঁচাতে উঠেপড়ে লেগেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে কীভাবে রাস্তায় গাড়ি চালানো শেখা যায়, সেই প্রশ্ন তোলা হয়। মোটর ভেহিক্যালস আইন অনুযায়ী, প্রশিক্ষণের গাড়িতে ডাবল ক্লাচ-ব্রেক থাকতে হবে। তাই তাঁদের তরফে খুনের মামলা রুজু করার জন্য আবেদন জানানো হয়। এই মামলা প্রসঙ্গে লালবাজারের এক কর্তার বক্তব্য, ‘বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’