মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
আত্মঘাতী রাকেশ কুমার সুইসাইড নোটে জনৈক রাহুলের কথা লিখে গিয়েছেন। সুইসাইড নোটে ইঙ্গিত রয়েছে, রাহুলের সঙ্গেই নাকি নিক্কুর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। চিকিৎসাধীন নিক্কুও তেমনটাই জানিয়েছেন। কিন্তু নিক্কুর পরিবারের সদস্যরা বিয়ে ঠিক হওয়ার বিষয়ে বিন্দু বিসর্গ জানেন না। তদন্তের মাঝপথে পুলিসের প্রশ্ন, কে ঠিক কথা বলছে পরিষ্কার হওয়া দারকার। রাকেশ বেঁচে নেই। ফলে তাঁর বক্তব্য জানার উপায় নেই। তাই নিক্কুর বক্তব্য এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গত কারণেই তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, নাছোড় রাকেশের থেকে দূরত্ব তৈরি করতেই রাহুলের সঙ্গে বিয়ের কথা বলেছিলেন নিক্কু?
পাশাপাশি এই ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি রাকেশ কুমার কোথা থেকে পেলেন তাও জানার চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিস। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জায়গায় টিম পাঠিয়েছে লালবাজার। কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, আত্মঘাতী রাকেশ কুমারের মানিব্যাগ থেকে বিহারের সিওয়ানের রেলের টিকিট মিলেছে। যা থেকে পুলিসের একাংশের অনুমান, মুঙ্গেরে তৈরি ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি সম্ভবত সিওয়ানের কোনও অস্ত্র কারবারির থেকেই সংগ্রহ করেছিলেন সিভিল ডিফেন্সে কর্মরত রাকেশ শা।
উল্লেখ্য, বজবজের বাসিন্দা রাকেশ শা এবং নিক্কু কুমারী দুবের মধ্যে ছ’বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। মাঝে অবশ্য জাতপাত সংক্রান্ত বিবাদের জেরে উভয়ের সম্পর্ক ভেস্তে যায়। তবে মাঝেমাঝেই এই যুগল লেক গার্ডেন্সের গেস্ট হাইসে এসে একান্তে সময় কাটাতেন। এমনকী বুধবার দুপুরে দুটো নাগাদ লেক গার্ডেন্স গেস্ট হাউসে রাকেশ তাঁর বান্ধবী নিক্কুকে ডেকে আনেন। সেদিন মদ্যপানের পাশাপাশি বাইরে রেস্তরাঁ থেকে খাবার আনিয়েছিলেন তাঁরা। তারপরই এই গুলি চলার ঘটনা ঘটে।