মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পালপাকুরিয়াতে থাকত মণ্ডল দম্পতি। তাঁদের একমাত্র মেয়ে গত বছর ২০ জুলাই আত্মঘাতী হয়। মোবাইল ব্যবহার নিয়ে বাবার বকুনি সইতে না পেরেই সে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিল এই দম্পতি। কয়েকমাস আগে দীঘায় সস্ত্রীক ঘুরতে গিয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তাঁরা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। অবসাদ কাটাতে দম্পতির কাউন্সেলিং চলছিল। আর কয়েকদিন বাদেই মেয়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। সেই দিনটি কোনওভাবেই তাঁরা সহ্য করতে পারবেন না ভেবেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে প্রতিবেশীরা মনে করছেন। শুক্রবার সকালে তাঁদের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা দরজা ভেঙে ভূতনাথ ও মৌসুমির পচাগলা দেহ উদ্ধার করেন। পুলিস দেহ দু’টি বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিন ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। একটি পুরনো ডায়েরির পাতায় নীল কালিতে লেখা, ‘আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ পরের পাতায় লেখা— ‘আমরা মনুকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। তাই, ওঁর কাছেই চললাম।’ এনিয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মিলন সর্দার বলেন, ‘মেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার পর সেই শোক তাঁরা সহ্য করতে পারেননি। একবার তাঁরা আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। পাঁচদিন আগেও আমাকে বলেছিলেন গঙ্গাসাগরে যাবেন। এই ঘটনা মেনে নিতে পারছি না। তাঁদের মানসিকভাবে সুস্থ করার চেষ্টা করা হলেও, তা বিফলে গেল’।