গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
মৃতার বোন অস্টু মালিক বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে স্বামী পরেশ যাদব ও তাঁর তিন সন্তানকে রেখে জাঙ্গিপাড়ায় অন্য এক পুরুষের সঙ্গে সংসার শুরু করেন বিজলী। তবে মাঝে মধ্যেই সন্তানদের দেখতে হরিপালের বাড়িতে আসতেন তিনি। গত বছর প্রথম পক্ষের স্বামী পরেশ যাদব মারা যান। এরপর থেকেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। বড় ছেলে মহাদেব দুই ভাইকে সম্পত্তির ভাগ দিতে অস্বীকার করে। ছোট ভাই মানসিক ভারসাম্যহীন। গত সপ্তাহে মহাদেব যাদবের সঙ্গে সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে সংসারে অশান্তি বাড়তে শুরু করে। ছোট ভাইকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় সে। তাঁকে বাড়িতে ফেরানোর জন্য কয়েকদিন আগেই জাঙ্গিপাড়া থেকে হরিপালের বাড়িতে আসেন মা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ অশান্তি চরমে উঠলে মহাদেব মায়ের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। থেঁতলে যায় মাথা। দরজার বাইরেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন মা। প্রতিবেশীরা জমায়েত হলে ভিতর থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয় মহাদেব। তারপর নিজেই থানায় ফোন করে মাকে খুনের কথা জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হরিপাল থানার পুলিস। দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি তারা মহাদেবকে গ্রেপ্তার করেছে। বউমা চন্দনা যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিস। এই ঘটনায় হরিপালের কৈকালা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।