দেশ

লাগাতার বঞ্চনায় ক্ষুব্ধ সিকিম, ভারত ছাড়ার হুমকি

প্রীতেশ বসু, কলকাতা: সমতলের সঙ্গে সিকিমের সংযোগকারী একমাত্র রাস্তা হল, ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। আর সেই সড়ক নিয়ে ফুলেফেঁপে ওঠা সমস্যাই আজ ভারতের থেকে সিকিমকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার আশঙ্কা উস্কে দিচ্ছে। সিকিমের পক্ষ থেকে মোদি সরকারকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জাতীয় সড়ক সংক্রান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধান যদি না হয়, ভারতের সঙ্গ ত্যাগ করার কথা ভাবতে হবে।
১৯৭৫ সালে পূর্ণ রাজ্য হিসেবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল সিকিম। তারপর থেকে নিয়ম করে প্রতি বছর বর্ষা এলেই সঙ্কট শুরু হয় এই পাহাড়ি রাজ্যের। কারণ, সিকিমের অর্থনীতি নির্ভর করে পর্যটনের উপর। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে টান পড়ে নিত্যপণ্যের সরবরাহে। ফল? আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি। সিকিম যেহেতু চীনের সঙ্গে সীমান্ত ভাগাভাগি করে, প্রতিরক্ষার নিরিখেও এর অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনাচক্রে, এর কোনওটাই অজানা নয় নয়াদিল্লির। তা সত্ত্বেও সমস্যার পাকাপাকি সমাধানের চেষ্টা নেই কেন্দ্রের। সিকিমের অভিযোগ, ব্যবসার লাগাতার ক্ষতিতে তাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। আর এবার ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটছে। কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সিকিম জানিয়ে দিয়েছে, সমাধান চাই। না হলে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা ভাববে তারা। এই পরিস্থিতিতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বাংলার কপালেও।
১০ নম্বর জাতীয় সড়কের সেবক থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের সীমানা এলাকা রংপো পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ করে বাংলার পূর্তদপ্তরের জাতীয় সড়ক শাখা। সিকিমের অংশে রানিপুল থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত দায়িত্ব সিকিম সরকারের রোডস অ্যান্ড ব্রিজেস দপ্তরের। বাকি অংশের কাজ করে কেন্দ্রের অধীনস্থ ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। অর্থ বরাদ্দের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সড়ক পরিবহণ ও জাতীয় সড়ক মন্ত্রকের। এবার শুরুতেই পরিস্থিতি বিগড়ে যাওয়ায় ১৫ জুন রংপোর কাছে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের আধিকারিকদের নিয়ে ত্রিস্তরীয় বৈঠকে বসেছিলেন সড়ক পরিবহণ ও জাতীয় সড়ক মন্ত্রকের রোডস শাখার ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) ধর্মানন্দ ষড়ঙ্গী। আধিকারিক সূত্রে খবর, ওই বৈঠকেই জাতীয় সড়ক নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন সিকিম সরকারের রোডস অ্যান্ড ব্রিজেস দপ্তরের প্রিন্সিপাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার সহ প্রতিনিধি দলের চার সদস্য। বৈঠকে মোদি সরকারের ডিজিকে সিকিমের প্রতিনিধি দলের এক সদস্য সাফ বলেন, ‘কেন্দ্র তো সামান্য মেরামতি এবং ধস নামলে জোড়াতালি দিয়েই খালাস। ধসের কারণে প্রতি বছর পাহাড়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়, সে বিষয়ে তো কোনও হেলদোল নেই! সামগ্রিক পরিকল্পনা করে প্রকল্প হাতে নেওয়ার কোনও ভাবনা আছে বলেও মনে হয় না। তাহলে ভারতের সঙ্গে এসে লাভ কী হল? এর থেকে তো সঙ্গ ত্যাগ করাই ভালো।’ 
কেন সিকিম সামগ্রিক পরিকল্পনার দাবি তুলছে? বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক কারণেই নাব্যতা কমেছে তিস্তার। তার উপর তৈরি হয়েছে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এমনকী বেশ কিছু জায়গায় তিস্তার উপর চলে এসেছে পার্কিং স্ট্রাকচার। সেই কারণেই সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনকে দিয়ে সমীক্ষা চালানোয় জোর দিচ্ছে সিকিম।
5d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.২২ টাকা১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো৮৭.৮৯ টাকা৯১.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা