দক্ষিণবঙ্গ

সাঁকরাইলে পাকা ধানে মই দাঁতালদের, মশাল হাতে স্বামীদের সঙ্গে রাত জাগলেন মল্লিকারা

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্রামে হাতির তাণ্ডবে ফসল নষ্ট নিত্যদিনের ঘটনা। সাঁকরাইল ব্লকে হাতির তাণ্ডবে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। বন কর্মীদের দেখা না পাওয়ায় স্থানীয় চাষিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফসল বাঁচাতে রাতে মশাল হাতে জমি পাহারা দিচ্ছেন হাঁড়িভাঙা গ্ৰামের মল্লিকা পালই, বিনা দণ্ডপাট, কবিতা নায়েকরা। 
হাতির একটি দল সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে নয়াগ্ৰাম ও সাঁকরাইল ব্লক এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। দলে ২০টি হাতি রয়েছে। বাড়ির মেয়েরা ফসল বাঁচাতে  দিনে রাতে পাহারা দিচ্ছেন। রাতে মশাল জ্বালিয়ে চলছে পাহারা। সাঁকারাইল ব্লকে হাতির হানার কারণে এমনিতেই গত কয়েক বছরে চাষ কমেছে। কৃষিদপ্তর সূত্রের খবর, ২০২২-’২৩ সালে সাঁকরাইল ব্লকে ১৭৯১০ হেক্টর ধান চাষ হয়েছিল। সেখানে ২০২৩-’২৪ সালে ১৬৫৫০ হাজার হেক্টর ধান চাষ হয়েছে। অর্থাৎ, ২০২২-’২৩-এর তুলনায় ১৩৬০ হেক্টর ধান চাষ কম হয়েছে। ২০২৪-’২৫ সালে ১৬০৭০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। চাষের পরিমাণ কমা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। চাষিরা হাতির হানায় ক্ষয়ক্ষতির কারণে চাষে আগ্ৰহ হারাচ্ছেন বলে অভিযোগ। ফসল বাঁচাতে গ্ৰামের মহিলাদের মরিয়া চেষ্টা সেই কথাই প্রমাণ করছে।
কলাইকুণ্ডা রেঞ্জের অধীনে তিনটি ব্লক রয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের কিছুটা অংশ, সাঁকরাইল ব্লক ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকা। রাজ্যে হাতির তাণ্ডবে ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি হলে হেক্টর প্রতি১৫হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। বিঘা প্রতি মাত্র ১৯৮০টাকা ক্ষতিপূরণ পান ক্ষতিগ্রস্ত চাষি। বহুক্ষেত্রে সেই টাকাও না মেলার অভিযোগ রয়েছে। খড়্গপুর ডিভিশনে কলাইকুণ্ডা রেঞ্জের এই এলাকায় হাতির তাণ্ডব চলছেই। হাঁড়িভাঙা গ্রামের চাষি নৃপেন মাহাত বলেন, এলাকায় হাতির পাল ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রথমে ধানের চারা খেয়ে গিয়েছে। এখন পাকা ধানে মই দিচ্ছে। ট্রাক্টরের মাধ্যমে লাঙল, মজুরি, ধানের বীজ, ওষুধ সব মিলিয়ে খরচ প্রচুর। কিন্তু, হাতি ক্ষতি করলে খরচটাও মেলে না। তাই এই এলাকার অনেকেই চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। আমাদের দুধিয়ানালা, বালিভাসা, হাঁড়িভাঙা, দুধকুণ্ডি, শঙ্করবনি, হরিয়াধরা-সহ একাধিক জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হচ্ছে। 
হাঁড়িভাঙা গ্ৰামের বাসিন্দা মল্লিকা পালই বলেন, মাঠের ধান পেকে গিয়েছে। সেই ধান খেতে জঙ্গল থেকে হাতির পাল নেমে আসছে। কখনও ধান খাচ্ছে। কখনও জমির ধান মাড়িয়ে যাচ্ছে। ফসল বাঁচাতে দিনে রাতে পাহারা চলছে। রাতে মশাল জ্বালিয়ে জমি পাহারা দিচ্ছি। 
বিনা বলেন, হাতির হানায় বারবার ফসল নষ্ট হচ্ছে। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। ক্ষতিপূরণও সেভাবে মেলে না। গত বছরের থেকে এবার ধান চাষ কম করা হয়েছে। জমিতে যেটুকু ফসল আছে তা বাঁচাতে দিনেরাতে পাহারা দিতে হচ্ছে। দুধকুণ্ডি গ্ৰামের ফুলকুমার মাহাত বলেন, এই এলাকায় ধান চাষ এবার কম হয়েছে। হাতির ভয়ে কেউ আর জমিতে বেশি ধান লাগাচ্ছে না। এদিন সকালে হাতির একটা দল বিঘার পর বিঘা জমি মাড়িয়ে ধান নষ্ট করেছে। হুলা পার্টিকে দেখা যায় না। গ্ৰামের পুরুষ-মেয়ে দল বেঁধে ফসল বাঁচাতে রাতদিন পাহারা দিচ্ছে।
ডিএফও উমর ইমাম বলেন, সকালেই বনদপ্তরের আধিকারিকরা এলাকায় গিয়েছিল। হাতিগুলিকে জঙ্গলে সরানো হয়েছে। ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, আবেদন করলেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পড়ে গিয়ে দেহে আঘাত বা অস্থিভঙ্গের প্রবল যোগ থাকায় সতর্ক হন। কুচক্রীদের জব্দ করে কাজকর্মে...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৮ টাকা৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৫.২৭ টাকা১০৯.০০ টাকা
ইউরো৮৭.৮২ টাকা৯১.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা