রাজ্য

মহারাষ্ট্রে লড়াই ‘পাওয়ার প্রেস্টিজের’, ঝাড়খণ্ডের ভোটেও আজ উগ্র হিন্দুত্বের অগ্নিপরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ভোটারদের কাছে কে প্রকৃত শিবসেনা? আসল এনসিপিই বা কে? উদ্ধব থ্যাকারের দল ভাঙা একনাথ সিন্ধে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সত্যিই কি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন? কাকা শারদ পাওয়ারের সঙ্গে কি অজিত প্রতারণা করেননি? প্রশ্ন অনেক। আর ২০২৩ সাল থেকে জন্ম নেওয়া এইসব প্রশ্নের উত্তর মিলতে শুরু করেছে লোকসভা ভোটেই। অর্থাৎ, ভোটার কী চায়। দল ভাঙা, সরকার ফেলা, নতুন জোট সমীকরণ গড়ার খেলায় চ্যাম্পিয়ন বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়েছে মহারাষ্ট্রে। নাটকীয় ঘটনা পরম্পরার আঁচে বিপর্যয় ঘটেছে অজিত পাওয়ারেও। একনাথ সিন্ধে এবং উদ্ধব থ্যাকারের অবস্থা ছিল প্রায় ড্র। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বিজেপির ভাঙাগড়ার রাজনীতি সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে মহারাষ্ট্রবাসী। এবার পালা বিধানসভার। তাই আজ গোটা দেশের নজর মারাঠাভূমে। লোকসভা নির্বাচন সেমি-ফাইনাল হয়ে থাকলে, ফাইনাল আজ। মহারাষ্ট্রের মানুষ জানাবে, অপারেশন লোটাসে আদৌ সায় আছে কি না তাদের। এ রাজ্যে এক দফায় ২৮৮ আসন, আর ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় দফায় ৩৮টি। জেলযাত্রার বোঝা কাঁধে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের প্রেস্টিজ ফাইট। তাঁকে প্রমাণ করতে হবে, আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক দখলের যে দাবি বিজেপি তুলে যাচ্ছে, তার সবটাই হাওয়া। বাস্তব বলে কিছু নেই। এই দফাতেই আসন এবং ভোট বাড়িয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ তাঁর কাছে। এই দফাই তাঁর প্রেস্টিজ রক্ষা করবে। আর বাঁচাবে উগ্র গেরুয়া আগ্রাসন থেকে। 
ভোট হয় দলগত। ব্যক্তি নয়, দলের জেতা-হারা সচরাচর প্রধান ফ্যাক্টর। কিন্তু মহারাষ্ট্রে বিপরীত। কারণ, যুযুধান দুই জোটের নির্বাচনী যুদ্ধের পাশাপাশি এই ভোট আদতে একঝাঁক ব্যক্তিগত প্রেস্টিজ ফাইটও। বস্তুত ওই ব্যক্তিগত জয়-পরাজয়ের আগ্রহই যেন এবার বেশি। শারদ পাওয়ার বনাম অজিত পাওয়ারের সম্মানের লড়াই। অজিত পাওয়ারের স্ত্রীকে শারদ পাওয়ারের কন্যা পারিবারিক দুর্গ বারামতী আসনে পরাস্ত করেছেন। এবার স্বয়ং অজিত পাওয়ার প্রার্থী বারামতী বিধানসভা থেকে। সেখানেও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নিজেরই ভাইপো। নেপথ্য লড়াই আসলে শারদ পাওয়ারেরই। ৮৩ বছর বয়সে এসে নিজের দল ভেঙে নেওয়া ভা‌ইপোকে শেষবারের মতো সবক শেখাতে মরিয়া ‘পাওয়ার সিনিয়র’। কী হবে সেই লড়াইয়ে? অজিত পাওয়ারকে বিজেপি জোটের কাছেও প্রমাণ করতে হবে নিজের গুরুত্ব। লোকসভার মতো এবারও তাঁর আসন সংখ্যা নগণ্য হলে তাঁকে জোট থেকে ছেঁটে ফেলতে দ্বিধা করবে না সঙ্ঘ পরিবার। সুতরাং লড়াই অজিত পাওয়ারের অস্তিত্ব রক্ষারও। আর শারদ পাওয়ারের কর্তৃত্ব বাঁচানোর। প্রতীক কেড়ে নিয়েছেন অজিত। তাই শারদ পাওয়ারকে প্রমাণ করতে হবে, তিনি অনুগামী ভোটারদের কাছে প্রতীকের থেকেও উচ্চাসনে। 
উদ্ধব থ্যাকারে অথবা একনাথ সিন্ধে। কাকে বালাসাহেবের শিবসেনার প্রকৃত উত্তরাধিকারী মনে করেন ভোটাররা? প্রমাণ মিলবে তারও। সুতরাং হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার লড়াই উদ্ধবের। আর একনাথ সিন্ধে কতটা দর কষাকষি করতে পারবেন বিজেপি জোটে, সেটা নির্ভর করবে তাঁর প্রাপ্ত আসনের উপর। তাই তিনিও হাঁটছেন দড়ির উপর। এই চারজনের কাছে আজ ভোট যেন অস্তিত্ব ও প্রেস্টিজ দুইয়ের লড়াই। 
এবং নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে বিজেপির পারফরম্যান্স সবথেকে খারাপ। বিধানসভাতেও যদি বিজেপি সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেই দায় সরাসরি মোদি এবং অমিত শাহের। কারণ, অপারেশন লোটাসের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি জোট। রাজ্য নেতৃত্ব নয়, সবটাই কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত। ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রে এবার অন্য কোনও ইস্যুতে মন দেয়নি বিজেপি। সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে উগ্র হিন্দুত্বের এজেন্ডায়। যোগী আদিত্যনাথ থেকে হিমন্ত বিশ্বশর্মা ছিলেন স্টার ক্যাম্পেনার। ‘বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ এবং ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’, এই ছিল প্রধান স্লোগান। সুতরাং এরপরও যদি এই দুই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করা না যায়, সেটা হবে মোদির ব্যর্থতা। প্রমাণ হবে মোদির প্রভাব ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে যাচ্ছে ভোটের রণাঙ্গণে। ফল প্রকাশ? শনিবার।
আজ ভোট। তার আগে মঙ্গলবার ইভিএম সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন ভোটকর্মীরা। মহারাষ্ট্রের নাগপুরে পিটিআইয়ের তোলা ছবি।
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পড়ে গিয়ে দেহে আঘাত বা অস্থিভঙ্গের প্রবল যোগ থাকায় সতর্ক হন। কুচক্রীদের জব্দ করে কাজকর্মে...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৮ টাকা৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৫.২৭ টাকা১০৯.০০ টাকা
ইউরো৮৭.৮২ টাকা৯১.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা