বিদেশ

আমেরিকায় পালাবদলে  উদ্বেগ বাড়ছে ইউনুসের,  ট্রাম্পের জয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথ সুগম হবে হাসিনার?

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েকদিন আগে হঠাৎ ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে স্থান করে নিয়েছিল হিন্দুত্ব।  বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন তিনি। আমেরিকা তো বটেই, চমকে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের খবরে তাই জল্পনা চরমে—তবে কি বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসতে চলেছে নতুন মোড়? সোশ্যাল মিডিয়াতেও শুরু হয়েছে হইচই। বাংলাদেশি নেটিজেনদের অনেকেই লিখছেন, ‘অব তেরা ক্যায়া হোগা ইউনুস?’
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া ট্রাম্পের আসল লক্ষ্য যে মহম্মদ ইউনুস ছিলেন, সেটা স্পষ্ট। আর ঠিক সেই কারণেই ট্রাম্পের ক্ষমতাসীন হওয়া এখন সবথেকে বড় আশঙ্কা নিয়ে আসছে ইউনুস এবং তাঁর অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য। ইউনুস ডেমোক্র্যাট পার্টির ঘনিষ্ঠ, সেটা সর্বজনবিদিত। ট্রাম্পের ভোটপূর্ব বিবৃতি থেকেই স্পষ্ট যে, এবার বিশ্বের সবথেকে ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রপ্রধান কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবেন বাংলাদেশের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে। আর তা হলে দিল্লিতে আশ্রয় নিয়ে থাকা শেখ হাসিনার মুখেও সম্ভবত হাসি ফুটবে। তাঁর দেশে ফেরার পথ কি এবার প্রশস্ত হবে? আমেরিকার পালাবদলে এমনই জল্পনা শুরু হয়ে গেল।
প্রশ্ন অবশ্য আরও আছে। ট্রাম্পের মধ্যে কি তাহলে মোদির আদর্শ অন্তর্ভুক্ত হল? কেন? আসলে বাংলাদেশে হিন্দু সহ অন্য সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রবল বিরোধিতা করে ট্রাম্প এক ঢিলে অনেক পাখি মেরেছিলেন। হোয়াইট আমেরিকান ভোটব্যাঙ্ক তো তাঁর সঙ্গে ছিলই। কিন্তু ওই হুঁশিয়ারিতে তিনি নিজের পক্ষে টেনে আনেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত, বিশেষ করে হিন্দু মার্কিন নাগরিকদের। এছাড়া মৌলবাদের বিরুদ্ধাচারণ করে বহু দক্ষিণপন্থী নাগরিকের কাছেও ট্রাম্প উস্কে দিয়েছিলেন ৯/১১ হামলার ভয়াবহ স্মৃতি। জানা গিয়েছে, কট্টর ডেমোক্র্যাট সমর্থকদেরও একাংশ ট্রাম্পকেই ভোট দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ ছিল একেবারে ‘ট্রাম্প-কার্ড’!
সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের উদ্বেগ অথবা হিন্দু নির্যাতন প্রসঙ্গে কিছুই বলেননি জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসরা। নরেন্দ্র মোদি তা লক্ষ্য করেছেন এবং অবশ্যই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। মোদি এবং ট্রাম্পের মিত্রতা ২০১৯ সাল থেকেই। কখনও আমেরিকায় ট্রাম্প আয়োজন করেছেন ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠান। কখনও আমেদাবাদে মোদি আয়োজন করেছে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ কর্মসূচি। ট্রাম্পের পুনরায় ক্ষমতাসীন হওয়ার সংবাদ নিশ্চিত হতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী উচ্ছ্বসিত হয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, দু’জনে মিলে আবার নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যাবেন এই দুই দেশের সম্পর্ককে। মোদির রাশিয়া নীতির কারণে বিগত কয়েক বছর ধরেই ভারতকে চাপে রাখতে চেষ্টা করেছে বাইডেনের আমেরিকা। এবার ঠিক সেটাই দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন ইউনুস সরকারের উপর চাপ বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেই নির্বাচনে আওয়ামি লিগ তথা হাসিনা পরিবার যাতে অংশ নিতে পারে সেই চাপও পরোক্ষে দেওয়া হবে। অতএব মহম্মদ ইউনূস এবং তাঁর ভারত বিরোধী সরকার আপাতত যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।
1d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মস্থলে বা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আকস্মিক বাধায় বিচলিত হতে পারেন। আর্থিক লেনদেনে বিশেষ সতর্ক হন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৪৪ টাকা৮৫.১৮ টাকা
পাউন্ড১০৭.০২ টাকা১১০.৭৯ টাকা
ইউরো৮৮.৮৫ টাকা৯২.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা