Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সবকা বিকাশ কীভাবে হতে পারে
পি চিদম্বরম

বিপুল জনসমর্থন সবসময় আশীর্বাদ হয় না, একটি দুর্বলতর বিরোধী শাসনকার্যকে আরও দুঃসহ করে তোলে এবং উপর্যুপরি দু’দফায় ক্ষমতালাভ শাসকের অজুহাত খাড়া করার সুযোগ কেড়ে নেয়। আমি নিশ্চিত যে মানুষের বিরাট প্রত্যাশা আর তাঁর মন্ত্রিসভার উপর কতখানি বোঝা চাপল সেই কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খুব ভালো করেই জানেন। তাঁর প্রথম দফার শাসন পরিচালনা দেখার অভিজ্ঞতা থেকে আমি নিশ্চিত যে তিনি প্রতিটি পদক্ষেপ করবেন চ্যালেঞ্জ-সহকারে এগনোর লক্ষ্যে।
এই পন্থার সমস্যা দুটি। সমস্যার প্রথমটা হল, ভারতে কাজকর্ম হয়ে থাকে প্রচলিত বা পরম্পরাগত ধারায়। সমস্যার দ্বিতীয়টা হল সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতিযোগিতামূলক দাবি। তার মধ্যে অনড়ভাবে থাকবে দরিদ্রতম, দুর্বলতম, সবচেয়ে বঞ্চিত এবং শোষিত মানুষের কণ্ঠ। এই সরকারের প্রথম দফা শেষ হওয়ার অভিজ্ঞতা এই যে—(১) প্রচলিত ধারার কর্মপদ্ধতি আরও বিলম্বিত হয়েছে এবং (২) দরিদ্রতম, দুর্বলতম, সবচেয়ে বঞ্চিত এবং শোষিত মানুষ রয়ে গিয়েছে দরিদ্র, দুর্বল, বঞ্চিত ও শোষিত।
পরীক্ষিত ও ব্যর্থ
দ্বিতীয় দফা মোদিজি অবশ্যই প্রচলিত পথ ভেঙে যাত্রা শুরু করবেন। মোদিজির মিত্র অরবিন্দ পানাগড়িয়া এবং বেঙ্কটেশ কুমার নিম্নোক্ত পথ বাতলে দিয়েছেন:
‘তাঁর (মোদিজির) শাসনপদ্ধতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান (কি এলিমেন্ট) হল—তিনি কয়েকটি গ্রুপে সচিবদের নিয়োগ করে থাকেন, প্রতিটি গ্রুপকে প্রজেক্ট, প্রোগ্রাম এবং পলিসির প্রেজেন্টেশন তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়, পরবর্তী বছরে অর্থনীতির প্রধান ক্ষেত্রগুলিতে সেগুলি রূপায়ণের জন্য। এটা চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর প্রেজেন্টেশনগুলোই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোর রোড ম্যাপ হয়ে ওঠে।’
এরপর লেখকদের হুঁশিয়ারি:
‘কিন্তু যখন এটা আমূল সংস্কারে (র‌্যাডিকাল রিফর্মস) গিয়ে দাঁড়ায় তখন এই পদ্ধতির একটি নেতিবাচক দিক ধরা পড়ে। প্রকৃতিগতভাবে, আমলারা সতর্ক হয়ে থাকেন এবং তাঁদের ঝোঁকটা অতি মাত্রায় থাকে প্রজেক্ট ও প্রোগ্রাম মুখী। এমনকী, তাঁরা যখন পলিসি পরিবর্তনের প্রস্তাব দেন, তখন তাঁরা ধাপে ধাপে করেন এবং ক্বচিৎ জোড়াতাপ্পির বাইরে যান।’
আমি এবিষয়ে একমত কিন্তু, তাঁদের বিকল্প পদ্ধতির সঙ্গে একমত হতে পারি না। খুব কাছ থেকে নিরীক্ষণ করে বুঝেছি, এটাতে কোনও তফাত হয় না। বিকল্প মডেলে মন্ত্রীর জায়গা নেবেন মিশন হেড, সচিবের জায়গা নেবেন উপদেষ্টা এবং আধুনিক পেশাদারদরা আসবেন যুগ্মসচিব এবং তাঁর টিমের জায়গায়!  
‘ডিসরাপশন’টাই মূল
স্বচ্ছ ভারত এবং উজ্জ্বলা-তে যা প্রাপ্তি হয়েছে তার থেকে পৃথক কিছু ফললাভ ঘটবে না। স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের ক্ষেত্রে তিক্ত সত্যটি হল—গুজরাত ভিন্ন কোনও বড় রাজ্যকে ‘খোলা স্থানে মলত্যাগ মুক্ত (ওডিএফ)’ হিসেবে ঘোষণা করেনি। তৈরি হওয়া শৌচাগারের কত শতাংশ অব্যবহৃত বা ব্যবহারের অযোগ্য রয়ে গিয়েছে? উজ্জ্বলা প্রকল্পের ক্ষেত্রে সাফল্য অথবা ব্যর্থতার মাপকাঠি হল একজন উপকৃত ব্যক্তি (বেনিফিসিয়ারি) বছরে গড়ে ক’টি পরিবর্ত সিলিন্ডার কিনে থাকেন: এটা হতাশ হওয়ার মতো ৩ অথবা সর্বাধিক ৮ কি? আমি যতটা জানি আপনারাও জানেন ততটাই।
আমূল সংস্কার র‌্যাডিক্যাল পলিসি এবং ‘ডিসরাপশন’-এর মাধ্যমেই কার্যকরী হতে পারে মাত্র। ১৯৯১-৯৬ পর্বে আমরা ‘রেড বুক’-এর বহ্ন্যুৎসব করেছিলাম এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে আমূল পরিবর্তন ঘটে গিয়েছিল। আমরা পুরনো বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন (ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট) পাল্টে ফেলেছিলাম এবং তার ফলে বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার (ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ) হু হু করে বেড়েছিল। শিল্প লাইসেন্স ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছিলাম এবং তার ফলে নতুন প্রজন্মের শিল্পোদ্যোগীদের দেখা পাওয়া গিয়েছিল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, এবং গ্রামীণ সড়ক ও পরিবহণ ক্ষেত্রে মোদিজি অবশ্যই তেমন কিছু একটা করার চেষ্টা করবেন। স্কুলশিক্ষার ক্ষেত্রে তিনি কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার থেকে আইডিয়া ধার নিয়ে স্কুলশিক্ষাকে রাজ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত করে দিতে পারেন, রাজ্যগুলিকে টাকা দিতে পারেন, যাতে করে তারা স্বাধীনভাবে উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বিকশিত হতে পারে। মানুষ তার রাজ্য সরকারের কাছে ‘রেজাল্ট’ দাবি করবে এবং, একটা সময়ে তারা সেটা পাবেও।
মূল আইডিয়া—যেটা হবে সবচেয়ে ‘ডিসরাপটিভ’—বিকেন্দ্রীকরণ। স্বল্পমেয়াদি রেজাল্ট অসন্তোষজনক হবে হয়তো কিন্তু মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে সুশাসিত রাজ্যগুলি এখনকার থেকে অনেক ভালো করবে এবং এটাই রাজ্যস্তরে সুশাসনের চাহিদা বাড়িয়ে দেবে মানুষের মনে। বিকেন্দ্রীকরণের সুফল যেসব ক্ষেত্রে অত্যন্ত বেশি পরিমাণে পৌঁছবে সেগুলি হল—প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্বাস্থ্য পরিষেবা, পানীয় জল, শৌচাগার (স্যানিটেশন), পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি (রিনিউয়েবল এনার্জি), বিদ্যুৎ বণ্টন প্রভৃতি।
ড. সুব্রামনিয়ন শরণ
দ্বিতীয় মারাত্মক চ্যালেঞ্জটি হল ‘দরিদ্রের মধ্যে দরিদ্রতম’। তারা সবচেয়ে গরিব বলে সাক্ষরতায়, স্বাস্থ্যসূচকে, গৃহ ও শৌচাগার, খাদ্য ও জল, সরকারি পণ্য এবং পরিষেবা গ্রহণেও তাদের অবস্থান সবার নীচে। একটি গ্রামে আপনি তাদের দেখতে পাবেন সেই গ্রামটিরই প্রান্তিক এলাকাগুলিতে। অপেক্ষাকৃত গরিব রাজ্যগুলিতে দেখবেন গ্রামগুলি গরিব মানুষেই পরিপূর্ণ। এটাই মেনে নেওয়া যাক যে, উপর্যুপরি সরকারের অধীনে উন্নয়ন প্রক্রিয়া চলে ভারতের সবচেয়ে গরিব যে ২০ শতাংশ মানুষ তাঁদেরকে এড়িয়ে। মন্ত্রীরা এবং সরকারি কর্তাব্যক্তিরা গ্রাম ও সরকারি কর্মসূচির পরিদর্শনে গিয়ে হয় বড় রাস্তাতেই থেমে যান অথবা তাঁদের সেখানেই থামিয়ে দেওয়া হয়।
দরিদ্রতম মানুষের কাছে পৌঁছনোর একমাত্র উপায় হল তাদের স্বনির্ভর করে তুলতে সাহায্য করা: আকাঙ্ক্ষাপূরণে ব্যাকুল হওয়ার আগুন জ্বালিয়ে দিতে হবে তাদের মনে, সেটা তাদের হৃদয় বিদীর্ণ করে ঘরে ঢুকে যাবে, দারিদ্রের শৃঙ্খল থেকে তাদের বেরতে দিতে হবে এবং নিজেদেরকেই উঁচুতে তুলে ধরতে হবে নিজেদেরকে। পিএম-কিসান তাদের কোনও সাহায্য করবে না, কারণ খুব কম মানুষেরই একখণ্ড জমি আছে, বেশিরভাগই কৃষিশ্রমিক অথবা অন্য কোথাও শ্রমিকের কাজ করেন এবং ভীষণ গরিব মানুষের একটা বড় অংশই থাকেন শহরে, মহানগরে। ডিসরাপটিভ পলিসি পরিবর্তনটা হবে সরাসরি টাকা ট্রান্সফার করার মাধ্যমে একটি ‘বেসিক ইনকাম’। মোদিজি এই আইডিয়াটার জন্য ড. অরবিন্দ সুব্রামনিয়নকে কৃতিত্ব দিতে পারেন এবং তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের শীর্ষপদে বসিয়ে এই স্কিমটার রূপরেখা তৈরি ও রূপায়ণ করে নিতে পারেন।
যদি আমরা ৬-৭ শতাংশ হারে বার্ষিক বৃদ্ধির চিরাচরিত ক্লান্ত-মন্থর পথটিই আঁকড়ে থাকি তবে আমাদের বিশেষ পরিবর্তন হবে না। কোনও পরিবর্তনই দেখতে পাব না যদি আমরা বর্তমান পলিসিগুলো নিয়ে রগড়ারগড়ি করতে থাকি অথবা বর্তমান প্রশাসনিক ব্যবস্থাটার মেরামতির পথটাই নিই। সংশ্লিষ্ট অফিসারদের অস্বাভাবিক ক্ষমতা বাড়িয়ে দিলে অথবা মানুষকে অভিযুক্ত করার কিংবা জেলে ভরে দেওয়ার হুমকি দিলে আরও ক্ষতি হবে। রূপান্তর গোছের পরিবর্তনের সবচেয়ে কার্যকরী একক উপায়টি হল মানুষের ক্ষমতায়ন এবং তাদের জ্ঞান, শিল্প ও কর্মদক্ষতার উপর আস্থা স্থাপন।
03rd  June, 2019
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

06th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
একনজরে
রানিগঞ্জের কয়লাখনি অঞ্চলে ধস দুর্গতদের অবিলম্বে পুনর্বাসন চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংক্রান্ত প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ আসানসোলে দলের নেতৃত্বকে নির্দেশও দিলেন তিনি। পাশাপাশি আঙুল তুললেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও।  ...

গত জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত দার্জিলিং জেলায় ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তবে জেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর নেই বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ...

পর্দার ‘মুন্নাভাই’ মুরলি প্রসাদকে পাশ করাতে গিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন শিক্ষক রুস্তম পারভি। রিয়েল লাইফে তেমনই কাণ্ড ঘটাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নিট) পরীক্ষার্থীর দাদা। ঘটনাস্থল রাজস্থানের বারমার। ...

বনগাঁ মহকুমার বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা কিংবা নদীয়ার কল্যাণী বা হরিণঘাটা, উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর মূলত কৃষিপ্রধান এলাকা। এইসব এলাকায় উৎপাদিত ফসল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডক্রস দিবস
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস
১৭৯৪ - ফ্রান্সের রসায়ন বিজ্ঞানের জনক এ্যান্থেনিও লেভিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল
১৮২৮- রেড ক্রস এর প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরি ডুনন্টের জন্ম
১৮৬১ - বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৬৩ - ভারতে প্রথম রেডক্রস দিবস উদযাপিত হয়
১৯০২ - দক্ষিণ ফ্রান্সে অবস্থিত একটি পাহাড় থেকে বিকট শব্দে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ায় সেন পিয়ারে নামের একটি শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২৯- শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী গিরিজা দেবীর জন্ম
১৯৫৩- গায়ক রেমো ফার্নাডেজের জন্ম
১৯৬২- জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন
১৯৭০ – প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা মাইকেল বেভানের জন্ম
১৯৮১ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় স্থায়ী প্রধান বিচারপতি ফণিভূষণ চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৩ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা প্যাট কামিন্সের জন্ম
১৯৯৬ - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য যুগের পরবর্তী নতুন সংবিধান চালু হয়
২০০৮ -  অভিনেতা,পরিচালক ও নাট্যব্যক্তিত্ব জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২৩ - সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.১৭ টাকা ১০৬.৬২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩৮ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা ৯/৩০ দিবা ৮/৫২। ভরণী নক্ষত্র ২১/১৫ দিবা ১/৩৪। সূর্যোদয় ৫/৩/৪২, সূর্যাস্ত ৬/২/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/২৪গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৯ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৮ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৪০ মধ্যে। 
২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা দিবা ৮/৪৮। ভরণী নক্ষত্র দিবা ১/৫৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ১/৪৭ গতে ৫/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৪৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৯ গতে ৩/৪২ মধ্যে। 
২৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ৩ রানে আউট স্টোইনিস, লখনউ ২১/২ (৪.২ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

08:07:00 PM

আইপিএল: ২ রানে আউট ডিকক, লখনউ ১৩/১ (২.১ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

07:54:23 PM

আইপিএল: লখনউ ৩/০ (১ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

07:46:42 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত লখনউয়ের

07:13:59 PM

আগামী বছর উচ্চমাধ্যমিক কবে, জানুন
আগামী বছর উচ্চমাধ্যমিক শুরু হচ্ছে ৩ মার্চ ২০২৫। চলবে ১৮ ...বিশদ

04:46:37 PM

৪৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:21:11 PM